বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
নিয়ম না মানার শাস্তি পেয়েছেন বেন স্টোকস। আইপিএলে এ বারের বড় নিলামে নাম দেননি তিনি। অর্থাৎ, আগামী মরসুমে আইপিএলে নেই স্টোকস। তার পরের বারও এই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার। শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
এ বছর আইপিএলের নিয়মে বদল করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে বিদেশি ক্রিকেটারেরা এ বারের বড় নিলামে নাম দেবেন না, তাঁরা পরের বার ছোট নিলামেও নাম দিতে পারবেন না। এই নিয়মের জন্যই ২০২৬ সালের আইপিএলে খেলতে পারবেন না তিনি। তবে ২০২৭ সালের আইপিএলের আগে নিলামে নাম দিতে পারবেন স্টোকস। যদি সে বার তাঁকে কেউ কেনে, তা হলে সে বার এই প্রতিযোগিতায় খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। গত বারও নিলামে ছিলেন না তিনি। অর্থাৎ, টানা তিন বছর আইপিএলে দেখা যাবে না স্টোকসকে।
একটি নির্দিষ্ট কারণে নিয়মে এই বদল করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। স্টোকসের মতো কিছু বিদেশি ক্রিকেটার বড় নিলামে নামতে চান না। বদলে ছোট নিলামে নেমে বেশি টাকা পান তাঁরা। ছোট নিলামে খুব বেশি ক্রিকেটার কেনে না দলগুলি। ফলে যে টাকা তাঁদের হাতে থাকে সেই টাকা দু’এক জন ক্রিকেটারের পিছনেই খরচ করে তারা। ২০১৭ সালের ছোট নিলামে ১৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় স্টোকসকে কিনেছিল রাইজ়িং পুণে সুপারজায়ান্ট। পরের বার বড় নিলামে রাজস্থানের কাছে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের বড় নিলামেও নাম দেননি স্টোকস। অথচ পরের বছরই ছোট নিলামে তাঁকে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
একই ঘটনা দেখা গিয়েছে প্যাট কামিন্সের ক্ষেত্রেও। ২০২১ সালের ছোট নিলামে তাঁকে ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরের বার বড় নিলামে কেকেআর তাঁকে আবার কেনে। সে বার ৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। গত বার ছোট নিলামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাঁকে কেনেন ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায়। অর্থাৎ, বিদেশি ক্রিকেটারদের নজর থাকে ছোট নিলামের দিকে। সেটা যাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সেই কারণেই শাস্তি পেতে হচ্ছে স্টোকসকে।