England

T20 World Cup 2021: ইংল্যান্ড দলে এখন অনেক ‘পিটারসেন’

২০১৫ সালে লজ্জাজনক ভাবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে নিজেদের খেলার ধরনটাই নাটকীয় ভাবে বদলে ফেলে ইংল্যান্ড।

Advertisement

সুনীল গাওস্কর

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩২
Share:

ছবি: টুইটার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এমন দুটো দল, যারা দু’বছর আগে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেই ম্যাচ হারার পরেও নিউজ়িল্যান্ড দল যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিল, তাতে করে ওরা ক্রিকেটবিশ্বের মন জিতে নেয়। সেই হারের দুঃখ ওরা ভোলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতে। এখন আবার সুযোগ এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও ওদের ট্রফি ক্যাবিনেটে সাজানোর। তবে ওদের কাজটা সহজ হবে না। নিউজ়িল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম ইংল্যান্ড। যারা বছর ছয়েক ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে অসাধারণ খেলছে।

Advertisement

২০১৫ সালে লজ্জাজনক ভাবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে নিজেদের খেলার ধরনটাই নাটকীয় ভাবে বদলে ফেলে ইংল্যান্ড। যার ফলটা এখন ওরা পাচ্ছে। কঠিন সব পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতছে। ইংল্যান্ডের ভাগ্য একটা দিক দিয়ে ভাল ছিল। বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পরেই ওদের দেশে সফর করতে আসে নিউজ়িল্যান্ড। যার নেতৃত্বে ছিল ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। প্রথম আইপিএলে ম্যাকালামের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি তখন ওই প্রতিযোগিতাকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছে। ওই সফরে ম্যাকালামরা যা করেছিল, ইংল্যান্ড তার থেকেও ভাল করে। ওরা এমন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে যা ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। ২০১৯ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় অইন মর্গ্যানের দল।

এর আগে অবশ্য পল কলিংউডের নেতৃত্বে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। সে সময় দুরন্ত খেলেছিল কেভিন পিটারসেন। এই ইংল্যান্ড দলটায় অনেকেই আছে যারা কেপি-র মতো ব্যাট করে। জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোনরা তো আরও দূরে বল পাঠাতে পারে। ছন্দে থাকলে অইন মর্গ্যানও কম যায় না। পাশাপাশি অধিনায়ক মর্গ্যান দেখিয়ে দিয়েছে, কেন ও বিশ্বের অন্যতম সেরা। ওর বোলিং পরিবর্তন এবং নিখুঁত ফিল্ডিং সাজানো চাপে রেখেছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।

Advertisement

কেন উইলিয়ামসনও প্রায় একই ধাঁচের অধিনায়ক। ঠান্ডা মাথা, শান্ত। নিউজ়িল্যান্ড সাধারণত প্রচারের মধ্যে থাকতে ভালবাসে না। কারণ সেক্ষেত্রে প্রত্যাশার চাপটা ওদের উপরে কম থাকবে। মাঠের মধ্যে অবশ্য ওদের মতো লড়াকু দল খুব কমই হয়। ওদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের ভারসাম্যটা ভাল। আর ফিল্ডিং তো বোধ হয় প্রতিযোগিতার সেরা।

এই বিশ্বকাপের সেরা খেলা হতে পারে আজ, বুধবার আবু ধাবিতে। যেখানে দুঃখজনক ভাবে একটা দলকে বিদায় নিতে হবে। (টিসিএম)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement