আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
ভারত ছাড়া যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়া সম্ভব নয়, সেটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেই সঙ্গে ইসিবি ইঙ্গিত দিয়েছে, ভারত যদি পাকিস্তানে না যায়, তা হলেও সমস্যা হবে না। সে ক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচগুলো ফেলা যেতে পারে অন্য দেশে।
২০০৮ সালের পরে আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। ৫০ ওভারের এই প্রতিযোগিতায় খেলতে রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আশাবাদী, ভারত খেলতে আসবে। কিন্তু ইসিবির বক্তব্যের পরে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ‘হাইব্রিড মডেল’ অনুসরণ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হতে চলেছে। অর্থাৎ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটা অংশ হবে পাকিস্তানে। আর ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে অন্য দেশে। সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। শেষ এশিয়া কাপও হয়েছিল এ ভাবেই। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তান নিজেদের দেশে।
এখন পাকিস্তানে রয়েছেন ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড টমসন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলে, সেটা ক্রিকেটের ক্ষতি।’’ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে লাহোর, করাচিতে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে সরকারের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই তাকিয়ে ভারতের প্রাক্তন বোর্ড সচিব এবং আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহের দিকে। ডিসেম্বর থেকে আইসিসির দায়িত্ব নেবেন তিনি। টমসন বলেছেন, ‘‘জয় শাহের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে আছে। একটা রাস্তা ওঁকে বার করতেই হবে।’’