দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করার পরে জো রুট। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ডকে প্রথম টেস্টে হারাতে হল দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে হত শ্রীলঙ্কাকে। চেষ্টা করলেন কামিন্দু মেন্ডিস। শতরান করলেন তিনি। ৭৯ রান করলেন দীনেশ চণ্ডীমলও। কিন্তু তার পরেও বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারল না শ্রীলঙ্কা। তার ফলে চার দিনেই প্রথম টেস্ট জিতে গেল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করলেন জো রুট। ৫ উইকেটে জিতে সিরিজ়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
তৃতীয় দিনের শেষে ৬ উইকেট ২০৪ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ব্যাটিং জুটি হিসাবে কামিন্দু ও চণ্ডীমল ক্রিজ়ে ছিলেন। যা করার এই দু’জনকেই করতে হত। চেষ্টা করলেন তাঁরা। দু’জনের মধ্যে ১১৭ রানের জুটি হল। কামিন্দুকে কিছুটা হলেও সুবিধা করে দিল ইংল্যান্ড। তাঁর দু’টি ক্যাচ পড়ল।
শতরান করলেন কামিন্দু। কিন্তু ১১৩ রানের মাথায় গাস অ্যাটকিনসনের বলে তিনি আউট হতেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ধস নামল। বাকিদের নিয়ে বেশি ক্ষণ খেলতে পারেননি চণ্ডীমল। বাধ্য হয়ে বড় শট খেলা শুরু করেন তিনি। ৭৯ রানের মাথায় ম্যাথু পটসের বলে তিনি আউট হন। ৩২৬ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস।
ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২০৫ রান। মনে করা হচ্ছিল, পরিচিত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে তারা। কিন্তু সেটা দেখা গেল না। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার রান পেল না। তৃতীয় উইকেটে ড্যানিয়েন লরেন্সের সঙ্গে জুটি হয় রুটের। লরেন্স ৩৪ রানে আউট হন। হ্যারি ব্রুক করেন ৩২ রান। উইকেট পড়লেও ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোচ্ছিল ইংল্যান্ড। ধৈর্য ধরে ব্যাট করেন রুট। তিনি জানতেন, শেষ পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে।
রুটকে সঙ্গ দিলেন প্রথম ইনিংসে শতরান করা জেমি স্মিথ। দ্বিতীয় ইনিংসেও আক্রমণাত্মক ব্যাট করলেন তিনি। দুই ব্যাটার ধীরে ধীরে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পঞ্চম দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় চতুর্থ দিনেই খেলা শেষ করার চেষ্টা করছিল ইংল্যান্ড। জয়ের লক্ষ্য ৫০ রানের কম হওয়ার পরে কিছুটা হাত খোলেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটার। রুট আরও এক বার দেখালেন, এখনও ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা তিনি। একটুও তাড়াহুড়ো করেননি। ঠান্ডা মাথায় দলকে টানেন।
সব রকম চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। পেসার, স্পিনার সকলে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেন। ৩৯ রান করে স্মিথ আউট হলেও ইংল্যান্ডের জিততে সমস্যা হয়নি। রুট ৬২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।