বেন স্টোকস। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন বেন স্টোকস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। বিশ্বকাপ খেলতে ইংরেজ দল ভারতে। দিল্লিতে ম্যাচ ছিল তাদের। সেই সময় স্টোকস এবং লিভিংস্টোন অটো করে ঘুরছিলেন। তখন একটি দুর্ঘটনা হতে পারত তাঁদের। ভাগ্য সহায় থাকায় বেঁচে যান।
দিল্লিতে ইংল্যান্ডের খেলা ছিল ১৫ অক্টোবর। সেই ম্যাচের আগে বা পরে ঘটনাটি ঘটে। কোন দিন ঘটেছিল তা জানাননি স্টোকস। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় স্টোকসেরা যে যে অটোতে বসেছিলেন, তার খুব কাছ দিয়ে একটি গাড়ি বার হয়ে যায়। অটোচালক কোনও মতে অটো সরিয়ে নিয়েছিলেন। স্টোকস বলেন, “অটোর পিছনে বসেছিলাম আমরা। লিভিংস্টোন এবং আমার চেহারা বেশ বড়। সঙ্গে ছিল আমাদের কন্ডিশনিং কোচ। ওর চেহারাও বেশ বড়। অটোটা ছোট ছিল। তিন জন মিলে পিছনে বেশ কষ্ট করেই বসেছিলাম। এ দিক ও দিক ঘুরছিলাম আমরা। সেই সময় একটা গাড়ি আমাদের পাশ দিয়ে বার হয়ে যায়। এক বারের জন্যেও গতি কমায়নি গাড়িটা।”
স্টোকস যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, তাতে একটি সংস্থার কথা বলা রয়েছে। সেখানে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়। স্টোকসদের এই ঘটনার কথাও দেখিয়েছে তারা। স্টোকস ওই সংস্থার প্রচারের জন্য ভিডিয়ো করেছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বেশ বিপাকে। একাধিক ম্যাচ হেরে গিয়েছে তারা। গত বারের বিশ্বকাপজয়ী দল এ বারে ফর্মে নেই। নিউ জ়িল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে বৃহস্পতিবার ১৫৬ রান শেষ হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। এই ম্যাচ হারলে সেমিফাইনালে ওঠাই কঠিন হয়ে যাবে স্টোকসদের জন্য।
গত বছর এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন স্টোকস। এই বছরের বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও চোটের কারণে প্রথম দিকের ম্যাচগুলিতে খেলতে পারেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলে ফিরলেও ইংল্যান্ডকে জেতাতে পারেননি।