এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম বার মাঠে নামলেন বেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স।
চার বছর আগে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বেন স্টোকস। সেই ইংরেজ অলরাউন্ডার এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম বার খেলতে নামলেন শনিবার। চোটের কারণে প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলেননি তিনি। ইংল্যান্ডও জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেনি। তিনটির মধ্যে দু’টিতে হেরে যায় গত বারের বিশ্বজয়ীরা। তাই চতুর্থ ম্যাচেই নেমে পড়লেন স্টোকস। আর ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক এক দিনের দলে আছেন শুনেই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ের মাঠে উঠল হর্ষধ্বনি।
স্টোকস এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে তিনি আবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফিরে আসেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরে তিনটি এক দিনের ম্যাচও খেলে ফেলেন বিশ্বকাপের ঠিক আগে। কিন্তু বিশ্বকাপের শুরুতে চোট পাওয়ায় প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শনিবার নামার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তিনি। ম্যাচের দু’দিন আগে স্টোকস বলেছিলেন, “বিশ্বকাপ শুরুর আগে একটা ছোট চোট লেগেছিল। সেটাই এত দিন ধরে ভোগাচ্ছে। তবে আমি খুবই পরিশ্রম করেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। আফগানিস্তান ম্যাচের পর কয়েক দিন সময় পেয়েছি। মুম্বইয়ে অনুশীলনও করেছি। আমি সুস্থ আছি। পরের ম্যাচে আমাকে প্রথম একাদশে রাখা যেতে পারে।”
স্টোকস যেমন খেলতে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলেন, তেমনই তাঁকে খেলতে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন দর্শকও। ভারত ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়াংখেড়েতে। সেই মাঠে এ বারের বিশ্বকাপে শনিবার প্রথম ম্যাচ হচ্ছে। ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার টসের সময় জানান যে, স্টোকস খেলবেন। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে উপস্থিত দর্শকেরা চিৎকার করে ওঠেন। স্টোকসকে বরণ করে নিলেন তাঁরা। রোহিত শর্মার ঘরের মাঠে অন্য দেশের এক ক্রিকেটারের জন্য এমন চিৎকার আশা করেননি অনেকেই।
২০১৯ সালের ফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টোকসের ব্যাট বল লেগে চার হয়ে গিয়েছিল। সেই ওভার থ্রোয়ে হয়ে যাওয়া বাউন্ডারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কারণ ম্যাচটি ড্র হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপের ফাইনাল ড্র হয়ে যাওয়ার পর সুপার ওভার হয়। সেটিও ড্র হয়ে যায়। তখন কোন দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, সেটা দেখা হয়। তাতেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। সেই স্টোকস শনিবার মাঠে নামলেন। আইপিএলে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। যদিও আইপিএলের পরেই শুরু হওয়া অ্যাশেজ়ে পাঁচটি টেস্টেই খেলেছিলেন স্টোকস। বিশ্বকাপের আগেই চোট পাওয়ায় খেলতে পারছিলেন না। বাইরে বসে ছটফট করছিলেন নামার জন্য।