নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। এ রকম আরও অনেক ব্লকই ফাঁকা রয়েছে। ছবি: পিটিআই
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক ধরে। গুজরাত ক্রিকেট সংস্থা দাবি করেছিল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুরুর অনেক আগে থেকেই ভরে যাবে স্টেডিয়াম। একটি আসনও ফাঁকা থাকবে না। কিন্তু ১০ ওভার খেলা হয়ে যাওয়ার পরেও দেখা গেল বহু জায়গায় আসন ফাঁকা। কেন এমন হল?
ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় মাঠে যা দর্শক ছিল তা হিসাব করলে ১ লক্ষের বেশিই হবে। অন্য কোনও মাঠ হলে অবশ্য তেমন হত না। কারণ, ভারতের বাকি মাঠগুলির মধ্যে ইডেনে ৬৩ হাজার দর্শক বসতে পারেন। সেই মাঠের দর্শক সংখ্যার থেকেও বেশি দর্শক থাকার পরেও আমদাবাদে অনেক আসন খালি পড়ে রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট অনেক আগে থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে অনলাইনে আধ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে যায়। পরে আরও দু’টি ধাপে টিকিট বিক্রি করা হয়। সেগুলিও বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেই জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও আসন ফাঁকা থাকায় প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনটা হল।
বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চরম উন্মাদনা ছিল। জানা গিয়েছিল, আমদাবাদে হোটেলের ভাড়া বহু গুণ বেড়ে গিয়েছিল। বিলাসবহুল হোটেলে এক রাতের ভাড়া ৩ লক্ষ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তা ছাড়া ম্যাচের আগে বিমানভাড়াও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচের আগে ও পরে মুম্বই থেকে আমদাবাদ বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়। জানা যায়, হোটেলের ভাড়া এড়াতে অনেকে হাসপাতালে বেড বুক করেছেন। তার পরেও আসন ফাঁকা দেখে অবাক হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী জানিয়েছেন, অনেকে এখনও মাঠে ঢোকেননি। ভারত প্রথমে বল করছে বলেও হয়তো কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে। খেলা শুরু হওয়ার পরে ধীরে ধীরে তা ভরে যাবে। কিন্তু ম্যাচের ১০ ওভার হয়ে যাওয়ার পরেও তা দেখা যায়নি। ফাঁকা রয়েছে বহু আসন।