নাইট রাইডার্সেই ছিলেন ডোয়েন ব্র্যাভো। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ডোয়েন ব্র্যাভো আইপিএলে তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন। শুরুটা করেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। পরে যোগ দেন চেন্নাই সুপার কিংসে। মাঝে গুজরাত লায়ন্সের হয়ে খেললেও পরে আবার ফিরে আসেন সুপার কিংসে। সেই দলের বোলিং কোচও ছিলেন তিনি। এ বার চেন্নাই ছেড়ে কলকাতায় ব্র্যাভো। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ জানালেন গত ১০ বছর ধরে তিনি যুক্ত নাইট রাইডার্সের সঙ্গেই!
গোটা বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন ব্র্যাভো। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তিনি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। নাইট রাইডার্সের মেন্টর হয়ে ব্র্যাভো মনে করিয়ে দিলেন গত ১০ বছর ধরেই তিনি এই দলে রয়েছেন।
ব্র্যাভো শুধু কলকাতা নয়, সামলাবেন নাইট রাইডার্সের বাকি দলগুলির দায়িত্বও। তিনি বলেন, “গত ১০ বছর ধরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আমি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছি। বিভিন্ন দেশের লিগে কখনও নাইট রাইডার্সের হয়ে, কখনও তাদের বিপক্ষে খেলেছি।”
কেকেআরে যোগ দিয়ে ব্র্যাভো ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাইট রাইডার্সের ম্যানেজমেন্টকে। সেই সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। ব্র্যাভো বলেন, “আমার উপর ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ। এই দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ চেন্নাই সুপার কিংসকেও। ওরা আমাকে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমি সব সময় চাই আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে। সেই দায়িত্ব পেয়ে ভাল লাগছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিতে। আমরা আনন্দ করব, মজা করব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জিতব। করব, লড়ব, জিতব।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্র্যাভোর বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন তিনি। সব দল মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫৮২টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্র্যাভোর। ক্যারিবিয়ান লিগে ১০৭টি ম্যাচে ১১৫৫ রান করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিয়েছেন ১২৯টি উইকেট। সেই ব্র্যাভোই এ বার কেকেআরের মেন্টরের দায়িত্ব সামলাবেন। আইপিএলে ১৬১টি ম্যাচে ১৫৬০ রান করেছেন, সেই সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ১৮৩টি উইকেট। চেন্নাইয়ে বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলানোর পর এ বার নাইটদের মেন্টর ব্র্যাভো। তিনি বলেন, “নাইট রাইডার্সেরা যে ভাবে দল পরিচালনা করে তা শেখার মতো। দলের প্রতি মালিকদের আবেগ, দায়বদ্ধতা, পেশাদারিত্ব এবং পরিবারের মতো আন্তরিক ব্যবহার খুবই ভাল লাগে। খেলা ছাড়ার পর আগামী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার এটাই সেরা জায়গা।”