আবার জাতীয় দলে কার্তিক। ফাইল ছবি।
আইপিএলের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য ফের ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। যে লক্ষ্য নিয়ে নিজের ব্যাট করার ধরন বদল করেছিলেন, তা পূরণ হওয়ায় খুশি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন কার্তিক। আইপিএলে তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংই একরকম জাতীয় নির্বাচকদের বাধ্য করেছে দলে রাখতে। ৩৭ বছরের ক্রিকেটার জাতীয় দলে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি। ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ বার তিনি খেলেন দেশের হয়ে।
জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর কার্তিক কিছুটা আবেগপ্রবণ। তিনি নেট মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আপনি যদি নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন, তা হলে সব কিছুই পেতে পারেন।’’ তাঁকে সমর্থন করার জন্য এবং তাঁর উপর আস্থা রাখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আগামিদিনে আরও পরিশ্রম করার কথাও বলেছেন তিনি।
তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার ২০০৪ সালে প্রথম ভারতীয় দলে সুযোগ পান। কিছু দিন আগেই তিনি জানান, নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই নিজের খেলায় পরিবর্তন করেছেন। সেই লক্ষ্য যে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন, তাও জানান কার্তিক। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমি খুব খুশি। এটা আমার জন্য সন্তুষ্টির। এটাই সম্ভবত আমার সবথেকে স্মরণীয় ফিরে আসা। কারণ, অধিকাংশ মানুষই আমাকে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দলে ফেরার জন্য আমি সব কিছু করেছি। কোচ অভিষেক নায়ারের পরামর্শে খেলায় কিছু পরিবর্তন করেছি। সেটা আমাকে নিলামের সময়ও সুবিধা দিয়েছিল। আমার এই পারফরম্যান্সের জন্য বেঙ্গালুরুর কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার এবং ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ের নির্দেশক মাইক হেসনেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। ওঁরা আমাকে নিজের খেলা খেলতে দিয়েছেন। আমি শুধু দলের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। সব মিলিয়ে আমি খুব খুশি।’’
অনেক তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসা সত্ত্বেও তাঁর কথা বিবেচনা করায় কার্তিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচক, জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও। তাঁর ভাবনায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে, তাও জানিয়েছেন। খেলার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি আত্মবিশ্বাসী।