বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেটে চেনা বিরাট কোহলিকে দেখা যাচ্ছে না। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৭০ রানের একটি ইনিংস খেললেও দ্বিতীয় টেস্টে তিনি আবার ব্যর্থ। যে ভাবে খেলতে চাইছেন, তা পারছেন না। স্পিনারদের বিরুদ্ধে কোহলির দুর্বলতাও উদ্বেগের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কোহলিকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন সতীর্থ দীনেশ কার্তিক।
২০২১ সাল থেকে শেষ ৫০টি টেস্ট ইনিংসের ২৪টিতেই কোহলি আউট হয়েছেন স্পিনারদের বলে। এই ৫০টি ইনিংসে তাঁর গড় ৩৩.৩৮। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শেষ টেস্ট শতরান এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। ২০২৪ সালে ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস এখনও পর্যন্ত একটি। লাল বলের ক্রিকেটে এই অচেনা কোহলিই ক্রিকেটপ্রেমীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছেন। দলকে সে ভাবে সাহায্য করতে পারছেন না প্রাক্তন অধিনায়ক। কার্তিক বলেছেন, ‘‘সকলেই জানি কোহলি কতটা দক্ষ ব্যাটার। একটা সিরিজ়ের পারফরম্যান্স দিয়ে বিচার করা যায় না। ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ হতে পারেন। কারণ বেশ কিছু দিন ধরে কোহলিকে সেরা ফর্মে দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ধামাচাপা দেওয়ার মানে হয় না। কোনও খেলোয়াড়ের মূল্যায়ন করার সময় আমরা বাস্তবটা মাথায় রাখি। গত দু’-তিন বছর ধরে টেস্টে কোহলির পারফরম্যান্স খুবই সাধারণ। স্পিনারদের ভাল খেলতে পারছে না।’’ কার্তিক মনে করছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েকটা ম্যাচ খেললে উপকৃত হতে পারেন কোহলি। ভুল বা খামতিগুলি ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘কোহলিকে স্বচ্ছন্দ লাগছে না। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি ইনিংসের তিনটিতেই হতাশ করেছে। একটি বিষয় পরিষ্কার। স্পিনারেরা বার বার সমস্যায় ফেলছে কোহলিকে। আমি নিশ্চিত কোহলিকেও এই বিষয়টা ভাবাচ্ছে। কী করলে শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসতে পারবে, সেটা ও জানে। কোহলি এমন একজন, যে সব সময় সমস্যার সমাধান খোঁজে। সাফল্য এবং খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছলে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। ভারত সাধারণত স্পিন সহায়ক পিচে খেলতে পছন্দ করে। তাই কোহলিকে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’’
এই মুহূর্তে রঞ্জি ট্রফি চলছে। চাইলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের আগে কোহলি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে নিজের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে পারবেন। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত কার্তিক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন সতীর্থকে। উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের পাশাপাশি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দু’জনে আইপিএল খেলেছেন।