ভারতীয় জার্সিতে রোহিত শর্মা। ফাইল চিত্র
প্রথম দুই টেস্টে এসেছিল শতরান। সবাই ভেবেছিলেন, সাদা বলের ক্রিকেটের মতো টেস্টেও ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠবেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তা হয়নি। রান না পাওয়ায় দীর্ঘ দিন দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। রোহিতের সেই লড়াইয়ের কথা উঠে এল সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের মুখে।
একটি সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেন, ‘‘রোহিতের মতো ক’জন ক্রিকেটারের টেস্ট কেরিয়ারের শুরুটা ওরকম হয়। পর পর দু’টো টেস্টে শতরান। সবাই ভেবেছিল সচিনের অবসরের পরে মিডল অর্ডারে এক জন ভাল ক্রিকেটার পাওয়া গেল। কিন্তু সেটা তখন হয়নি। জীবনের মতোই খেলাতেও সব হিসাব মেনে না।’’
কঠিন পরিস্থিতিতে রোহিত হাল না ছেড়ে যে লড়াই করেছেন তার প্রশংসা করেছেন কার্তিক। ভারতীয় উইকেটরক্ষক বলেছেন, ‘রোহিতের অনেক সমালোচনা হয়েছিল। একের পর এক বাউন্সার ওকে সামলাতে হয়েছে। কিন্তু ও হাল ছাড়েনি। ফিরে এসেছে। এখন তো ওকে ছাড়া টেস্ট দল ভাবাই যায় না।’’
২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পর পর দুই টেস্টে ১৭৭ ও ১১১ রান করেছিলেন রোহিত। কিন্তু টেস্টে তাঁর তৃতীয় শতরান এসেছিল ২০১৭ সালে। টেস্ট দলে দীর্ঘ দিন অনিয়মিত থাকার পরে ২০১৯ সালে রোহিতকে ওপেনার হিসাবে টেস্ট দলে খেলানো শুরু হয়। তার পর থেকে সাদা জার্সিতেও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছেন রোহিত। বিরাট কোহলী অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে তাঁকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কার্তিকের নিজের কেরিয়ারও তো খানিকটা একই রকম। ২০০৪ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৮ সালে। কিন্তু এই ১৪ বছরে মাত্র ২৬টি টেস্ট খেলেছেন কার্তিক। এক দিনের ক্রিকেটে ২০০৪ সালে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০৬ সালে অভিষেক হলেও দলে নিয়মিত খেলেননি। এরপর গত আইপিএলে পুনর্জন্ম হয়েছে কার্তিকের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাঁকে। তাই তিনি যে লড়াইয়ের মানেটা জানবেন সেটাই স্বাভাবিক।