ভারতীয় ক্রিকেটে মহম্মদ আজহারউদ্দিন এক বর্ণময় চরিত্র। ক্রিকেট মাঠে দাপটের সঙ্গে খেলাই হোক, বা মাঠের বাইরে রঙিন জীবন, বরাবরই তিনি থেকেছেন চর্চায়।
কখনও মাঠে শতরান হাঁকিয়েছেন, আবার পরক্ষণেই কোনও সুন্দরী নায়িকার সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম। আজহারকে নিয়ে মাঠে এবং মাঠের বাইরে বিতর্ক এবং মুচমুচে খবরের কমতি হয়নি কোনও দিন।
এ হেন আজহার ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের বাইরে একাধিক পদে থেকেছেন। কখনও তিনি দলের অধিনায়ক, কখনও আবার প্রশাসক। কখনও সব ছেড়ে একেবারেই পুরোদস্তুর রাজনীতিক।
১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় আজহারের। এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক পরের বছরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
১৯৮৯ সালে কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তকে সরিয়ে প্রথম বার জাতীয় দলের অধিনায়ক হন। ভারতীয় দলকে ৪৭টি টেস্ট এবং ১৭৪টি এক দিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অধিনায়ক হিসেবে ১৪টি টেস্টে জিতেছিলেন, যা সেই সময়ে সর্বোচ্চ ছিল। পরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তা টপকে যান। তাঁর ৯০টি এক দিনের ম্যাচ জেতার রেকর্ড টপকে যান মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন ম্যাচ গড়াপেটার কারণে। তবে কোচ বা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অন্য কোনও পেশার বদলে তিনি বেছে নেন রাজনীতি।
২০০৯ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। মোরাদাবাদ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে লোকসভার সাংসদ হন।
বর্তমানে তিনি তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভাপতি। রাজ্যের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভার রয়েছে তাঁর কাঁধেই।
২০১৯-এ হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ক্রিকেটের প্রশাসক পদে এটাই তাঁর প্রথম কোনও পদে আসা।
২০২১ সালে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সুপারিশে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মাস খানেক পরেই ওম্বুডসম্যান দীপক বর্মার নির্দেশে ফের সভাপতি পদে ফেরেন তিনি। এখনও সেই পদে রয়েছেন।
২০১৬ সালে আজহারের জীবন নিয়ে তৈরি হয় ‘আজহার’ সিনেমা। নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ইমরান হাশমি। তবে অনেকের অভিযোগ, এই সিনেমায় আজহারের জীবনের অনেক কিছুই দেখানো হয়নি।