আয়ুষ বাদোনি। ছবি: এক্স।
দিল্লি ক্রিকেটে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিল। দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার আয়ুষ বাদোনিকে নেওয়াই হল না চতুর্থ ম্যাচে ১৫ সদস্যের দলে। তাঁকে মাঠে না এনে রেখে দেওয়া হল হোটেলে। কিছু প্রভাবশালী কর্তাদের মদতেই এই কাজ করা হয়েছে বলা জানা গিয়েছে। বাদোনিকে ‘শিক্ষা’ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি মরসুমে প্রথম তিনটি ম্যাচে খুবই খারাপ খেলেছে দিল্লি। তিনটি ম্যাচের দু’টিতেই হেরেছে তারা। গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে। তার উপর মাঠের বাইরের ঘটনা আরও বেশি করে শিরোনামে আসছে। প্রথম ম্যাচ হারতেই অধিনায়ক পদ থেকে যশ ধুলকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ বার এল বাদোনির কাণ্ড।
দিল্লির যে ক’জন ব্যাটার জাতীয় দলের দৌড়ে নজরে রয়েছেন তাঁদের একজন বাদোনি। তবে চতুর্থ ম্যাচে তাঁর জায়গায় ক্ষিতীজ শর্মাকে নেওয়া হয়েছে, যিনি নাকি প্রাক্তন বোর্ড কর্তার ঘনিষ্ঠ। সংবাদ সংস্থাকে দিল্লি দলের এক কর্তা বলেছেন, “ক্ষিতীজকে খেলানোর জন্য আমাদের উপরে চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে বাদোনিকে প্রথম ১৫ জনের বাইরে রাখতে বলা হয়েছিল, যাতে ও ম্যাচ ফি না পায়। দলে থাকা প্রথম ১৫ জনকে ম্যাচ ফি দেওয়া হয়। এই ম্যাচে বাদোনি সেটা পাবে না। যে হেতু ডাগআউটে বসার অধিকার ছিল না, তাই ওকে হোটেলেই রেখে আসা হয়।”
ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ থাকলেও বাদোনিকে হোটেলে রেখে দেওয়া হল কেন? ওই কর্তার উত্তর, “সে ক্ষেত্রে টিম ম্যানেজারকে ওর জন্য আলাদা করে খাবারের ব্যবস্থা করতে হত। কারণ ওর টাকা বোর্ড দিত না। তা ছাড়া বিরতির সময়ে নেটে অনুশীলন করার সুযোগও ছিল না। কারণ পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার শিবির চলছিল। তাই ওকে হোটেলে রেখে আসা হয়।”
শোনা যাচ্ছে, আইপিএলে ভাল খেলে ‘ফোকাস’ হারিয়ে যাওয়ার কারণে বাদোনিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হয়েছে। ওই কর্তার দাবি, শতরান করলে বাদোনিকে বাদ দেওয়ার সাহস কেউ দেখাতেন না। তাঁর দাবি, দিল্লি সংস্থার সভাপতি রোহন জেটলির উচিত এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।