অনিশ্চিত ডেভিড ওয়ার্নার এবং জশ হেজ়লউড। ফাইল চিত্র।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জিতলেও চোটের ধাক্কা অস্ট্রেলীয় শিবিরে। জোরে বোলার জশ হেজ়লউড দ্বিতীয় টেস্টে অনিশ্চিত। তাঁর পেশির চোটের সমস্যা রয়েছে এবং তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
৩০ বছর বয়সি হেজ়লউড ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে চোট পান। যদিও তাঁর দল জেতে ৯ উইকেটে। তবে সরকারি ভাবে এখনও অ্যাডিলেড টেস্ট থেকে তাঁর ছিটকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তিনি না খেলতে পারলে তাঁর পরিবর্তে ঝাই রিচার্ডসন খেলতে পারেন।
শুক্রবার হেজ়লউডের চোটের স্ক্যান হয়। তবে তিনি শনিবার বল করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানিয়েছেন, চোট গুরুতর নয়। পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। গ্যাবায় তাঁর ৯৪ রানের ইনিংস খেলার সময় পাঁজরে চোট লাগে।
কামিন্স অবশ্য আত্মবিশ্বাসী, বাঁ-হাতি ওপেনার দিনরাতের গোলাপি বলের টেস্টের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে ওয়ার্নার যদি না খেলতে পারেন, তা হলে উসমান খোয়াজার সামনে ফের টেস্টে নামার সুযোগ আসতে পারে। খোয়াজাকে ২০১৯ অ্যাশেজ টেস্টে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
তবে অস্ট্রেলিয়া যে ভাবে প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়েছে, তাতে সে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে না দাঁড়ালে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারে জো রুটদের। ২০১০-’১১ সিরিজ়ের পরে ইংল্যান্ড আর কখনও অ্যাডিলেডে টেস্ট জেতেনি। অস্ট্রেলিয়া আবার ২০০৬-’০৭ সালে অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে ৫-০ হারিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে পন্টিং বলেছেন, ‘‘পরিবেশের সঙ্গে যত সময় যাবে আরও ভাল করে মানিয়ে নেবে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে যে রকম পরিবেশ ছিল, সেটা ইংল্যান্ডকে সুবিধে দিত। গোটা সিরিজ়ে ও রকম পরিবেশ ইংল্যান্ড আর কোথাও পাবে না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘গত বারের সফরে আমরা অ্যাডিলেডে ওদের দারুণ বল করতে দেখেছি দিনরাতের টেস্টে। আবার অ্যাডিলেডে অন্য সময় এ রকমও দেখা গিয়েছে, গোলাপি বল থেকে কোনও সুবিধে পাওয়া যাচ্ছে না। তা সে নতুন বল হোক বা না হোক। যদি ওরা অ্যাডিলেডে না জেতে, তা হলে ২০০৬-’০৭ সিরিজ়ের মতো ফলাফল হতে পারে।’’
প্রথম টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যার সমালোচনা করেছেন পন্টিং। যে দু’জনের টেস্টে মোট উইকেট শিকারের সংখ্যা ১১৫৬। তাঁর মতে ইংল্যান্ডের দল নির্বাচন ঠিকঠাক ছিল না। পাশাপাশি বেন স্টোকসের ফিটনেসও ইংল্যান্ডের কাছে উদ্বেগের কারণ। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ব্রিসবেনে হাঁটুর চোটে সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে। ‘‘কেন ওরা ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে প্রথম টেস্টের দলে রাখল না, বুঝলাম না। ওদের দু’জনের মধ্যে এক জনকে অন্তত খেলানো উচিত ছিল,’’ বলেছেন পন্টিং। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হয়তো ওরা অ্যান্ডারসন বা ব্রডের মধ্যে এক জনকে অ্যাডিলেডে খেলাবে। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করবে স্টোকস অ্যাডিলেড টেস্টের আগে কী রকম থাকে তার উপরে।’’ পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং নিয়েও চিন্তা রয়েছে। বিশেষ করে, ওপেনারদের খারাপ ছন্দ দুঃশ্চিন্তার অন্যতম কারণ।