মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
৯০টি টেস্ট, ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ ও ৯৮টি টেস্ট খেলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। মোট ৫৩৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ধোনিকে এ বারও নিলামের আগে ধরে রাখল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে নতুন নিয়মে। ‘ঘরোয়া’ ক্রিকেটার হিসাবে তাঁকে ধরে রেখেছে পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী দল।
মোট পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবীন্দ্র জাডেজাকে দেওয়া হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। মাথিশা পাথিরানাকে দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। শিবম দুবেকে ১২ কোটি টাকায় ধরে রেখেছে চেন্নাই। ধোনি পাচ্ছেন ৪ কোটি টাকা।
এ বারের আইপিএলের আগে নতুন নিয়ম করেছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। যে ক্রিকেটার পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন, তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে ধরতে পারে কোনও দল। শেষ বার ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন ধোনি। সেই হিসাবে তাঁর অবসর নেওয়া পাঁচ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে ধরে রেখেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
গত কয়েক বছর ধরেই ধোনির আইপিএল থেকে অবসর নিয়ে জল্পনা চলছে। গত বার অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন তিনি। নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ধোনির এই সিদ্ধান্ত থেকেই বোঝা গিয়েছিল আর বেশি দিন হয়তো খেলবেন না তিনি। ৪৩ বছর বয়সি ধোনি পুরো মরসুম খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সেই কারণে তিনি নিজেই চেন্নাই কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর জন্য বেশি টাকা খরচ যাতে করতে না হয় তার জন্যই ঘরোয়া ক্রিকেটারের তালিকায় যেতে চেয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটারের জন্য সর্বনিম্ন ৪ কোটি টাকা খরচ করতে হবে দলগুলিকে। সেই সুবিধা ধোনি দিয়েছেন চেন্নাইকে।
এ বারের আইপিএলের নিলামে প্রতিটি দলের কাছে ১২০ কোটি টাকা করে রয়েছে। তার আগে সর্বাধিক ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে তারা। তার মধ্যে সর্বাধিক পাঁচ জন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে। সর্বাধিক দু’জন ঘরোয়া ক্রিকেটার ধরে রাখা যাবে। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যার কোনও নিয়ম এ বার নেই। অর্থাৎ, কোনও দল চাইলে পাঁচ জন বিদেশি ধরে রাখতে পারে। আবার কোনও দল চাইলে পাঁচ জন দেশি ক্রিকেটারকেও ধরে রাখতে পারে। এই ছ’জন ক্রিকেটারের জন্য অন্তত ৭৯ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। কোন ক্রিকেটারকে কত টাকা দেওয়া হবে তা দলগুলির নিজেদের বিষয়। তার কোনও নিয়ম নেই। কোনও দল চাইলে ছ’জনের কম ক্রিকেটারকেও ধরে রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাকিদের নিলামে ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করে নিতে পারে তারা।