গত বছর মুম্বইয়ের অধিনায়ক ছিলেন রোহিত (বাঁ দিকে)। গুজরাতের দায়িত্ব ছিলে হার্দিকের কাঁধে। ছবি: পিটিআই
হার্দিক পাণ্ড্যকে নেওয়ার পর তাঁকে অধিনায়ক করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। তার পরেই শুরু হয়েছে নানা রকম জল্পনা। শোনা গিয়েছে, রোহিত এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি। খুশি হতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব, যশপ্রীত বুমরার মতো সিনিয়র ক্রিকেটারেরা। তাঁরা নাকি দল ছাড়তে চান। সুযোগ বুঝে নাকি তিন ক্রিকেটারকে দলে নিতে চাইছে চেন্নাই সুপার কিংস। এত সব জল্পনা নিয়ে এ বার মুখ খুলল চেন্নাই। কী বলল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল?
আইপিএলের নিলামের পরে চেন্নাইয়ের সিইও কাশী বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘আমরা এ ভাবে নিলামের বাইরে গিয়ে ক্রিকেটার কেনা-বেচা করি না। এটা আমাদের নীতি-বিরোধী। মুম্বইয়ের সঙ্গে ক্রিকেটার কেনা-বেচা নিয়ে আমাদের কোনও কথা হয়নি। আমরা কথা বলতেও চাইনি।’’ বিশ্বনাথন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নিলামে নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। তার বাইরে কোনও ক্রিকেটার কিনতে তাঁরা চান না।
রোহিতের অন্য দলে যাওয়ার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মুম্বইয়ের এক কর্তা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুম্বই কর্তা এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “চারদিকে যে প্রতিবেদন বা খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং অসত্য। মুম্বইয়ের কোনও ক্রিকেটারই দল ছাড়ছে না। আমরাও কাউকে অন্য দলে বিক্রি করছি না।”
মুম্বই এ-ও জানিয়েছে, হার্দিককে অধিনায়ক করার আগে সবার সম্মতি নেওয়া হয়েছে। রোহিতও সেখানে ছিলেন। ওই কর্তা বলেছেন, “প্রত্যেক ক্রিকেটারের মতামত শোনার পরেই হার্দিককে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিতকেও জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ওর।”
দুবাইয়ে আইপিএলের নিলামেও উঠেছে রোহিতের নাম। নিলাম শুরু হওয়ার আগে আকাশকে লক্ষ্য করে এক ভক্ত চিৎকার করে ওঠেন, ‘‘রোহিতকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনুন।’’ এড়িয়ে যাননি আকাশ। মুকেশ অম্বানীর পুত্র সেই ভক্তের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘চিন্তা কোরো না, রোহিত ব্যাট করবে।’’ আকাশের এই কথা থেকে পরিষ্কার, রোহিতকে শুধু ব্যাটার হিসাবেই ভাবছেন তাঁরা। হার্দিকের নেতৃত্বেই এ বার এগোবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।