কথায় আছে, ভালবাসা ধর্ম, বর্ণ, জাত, বয়স মানে না। সেই কথা প্রযোজ্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও। বীরেন্দ্র সহবাগ-সহ একাধিক ক্রিকেটার তাঁদের তুতো বোনকে বিয়ে করেছেন। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হতে চলেছেন বাবর আজম।
বীরেন্দ্র সহবাগ-আরতি অহলাবত: মাত্র ২১ বছর বয়সে আরতিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সহবাগ। পাঁচ বছর প্রেম করার পর ২২ এপ্রিল, ২০০৪-এ আরতিকে বিয়ে করেন সহবাগ। দু’জনে একে অপরের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। সম্পর্কে ভাই-বোন।
শাহিদ আফ্রিদি-নাদিয়া আফ্রিদি: মায়ের কাকার মেয়ে নাদিয়াকে ২০০০ সালের ২২ অক্টোবর বিয়ে করেন শাহিদ। তাঁদের পাঁচ মেয়ে রয়েছে। তবে কোনও দিন প্রকাশ্যে আসেননি নাদিয়া। শাহিদের খেলা কোনও ম্যাচে হাজির থাকেননি তিনি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আফ্রিদির মেয়ে আকসার সঙ্গে বিয়ে হতে চলেছে পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিন শাহ আফ্রিদির।
সঈদ আনোয়ার-লুবনা: পাকিস্তানের টেস্ট এবং একদিনের দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আনোয়ার ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন তাঁর দূরসম্পর্কের বোন লুবনাকে। ২০০১-এ তাঁদের একমাত্র মেয়ে বিসমাহ দীর্ঘ রোগভোগে মারা যাওয়ার পরেই আনোয়ারের জীবন বদলে যায়। তিনি ধর্মে মন দেন। তবে ২০০৩ বিশ্বকাপের দলে ফিরে ভাল খেলেন। তারপরেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
মুস্তাফিজুর রহমান-সামিয়া পরভীন: ২০১৯ সালে মায়ের তরফের তুতো বোন সামিয়াকে বিয়ে করেন বাংলাদেশের জোরে বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। সামিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার ছাত্রী ছিলেন। মুস্তাফিজুর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য।
মোসাদ্দেক হোসেন-সারমিন সমীরা ঊষা: বাংলাদেশের আর এক ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেনও বিয়ে করেছেন তাঁর এক তুতো বোনকে। ২০১২ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মোসাদ্দেক খেললেও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি।
বাবর আজম-? শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটার বাবর আজমও তাঁর এক তুতো বোনকে বিয়ে করতে চলেছেন। কিন্তু তাঁর নাম বা সম্পর্ক কিছুই এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।