বিরাট কোহলীর সঙ্গে মাইক হেসন। —ফাইল ছবি
বিরাট কোহলী, এবি ডি’ভিলিয়ার্সদের মতো ব্যাটারদের আলাদা করে কিছু শেখানোর থাকে না। তাঁরা যা জানেন সেটা যথেষ্ট। শুধু কিছু অতিরিক্ত যোগ করা যেতে পারে। এমনই বক্তব্য মাইক হেসনের।
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ ২০১৯ আইপিএল-এ কাজ করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেট অপারেশনের প্রধান হিসেবে। সেই সুবাদে বর্তমান সময়ের দুই সেরা ব্যাটারকে দেখেছেন কাছ থেকে। দু’জনকে নিয়েই উচ্ছ্বসিত তিনি।
হেসন বলেছেন, ‘‘কোনও প্রতিযোগিতা চলার সময় হঠাৎ করে কিছু পরিবর্তন করা যায় না। তখন টেকনিক বা তেমন কোনও সমস্যাহলে কিছু কৌশল ঠিক করতে হয়। আমাদের কোচিং বা সিদ্ধান্তের অধিকাংশ এ রকমই। এরা সকলেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এরা এক এক জন জীবনে ১০ থেকে ৩০ জন কোচকে পায়। সকলেই নানা রকম মতামত এবং পরামর্শ দেন। তার পর ওরা যখন এই স্তরে পৌঁছয়, তখন অনেক তৈরি হয়ে আসে, ওদের কাছে প্রচুর তথ্য থাকে।’’
হেসন ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে। তাঁর মতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে কখনই কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওরা অনেকটা পথ অতিক্রম করে এখানে পৌঁছয়। ওদের কোনও নির্দেশ দেওয়ার থেকে বরং ওদের কাছেই জানতে চাওয়া ভাল। কিছু সমস্যা হলে ওরাই সব থেকে ভাল বলতে পারবে। কিন্তু ওরা নিজেরা সব সময় সমস্যাগুলো দেখতে পায় না। ওরা দুর্দান্ত শিক্ষার্থী। ফলে কেউ একটু বলে দিলেই হয়ে যায়। সবটাই নির্ভর করে এক জন খেলোয়াড় কতটা তথ্য পাচ্ছে এবং নিজের খেলায় সেগুলো কতটা যোগ করতে পারছে।’’
হেসনের মতে, যে ক্রিকেটার বাড়তি কিছু নিজের খেলায় যোগ করতে পারে সে নিজেকে আলাদা স্তরে উন্নীত করতে পারে। টেকনিকে সমস্যা খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, জানা জিনিসই ঠিক হয় না। কারণ এক জন খেলোয়াড় নিজেকে দেখতে পায় না বলেই সমস্যার জায়গাটা বুঝতে পারে না। বোঝা যায় না ঠিক কী ভুল হচ্ছে। সেটুকু বলে দেওয়াই সেরা মানের খেলোয়াড়দের জন্য ষথেষ্ট।