নেতৃত্বের দৌড়ে কামিন্স এবং স্মিথ। ফাইল ছবি
কোচ বা সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের আগে সাক্ষাৎকারে বসার নিয়ম প্রায় সব ক্রিকেট খেলিয়ে দেশেই রয়েছে। কিন্তু অধিনায়ক হতে গেলেও সাক্ষাৎকার! এর আগে যা শোনা যায়নি, তাই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। সে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির এমনই হাল, যে পরবর্তী অধিনায়ক বাছতে গিয়ে রীতিমতো কমিটি গড়ে ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নিতে হচ্ছে।
বল বিকৃতি কাণ্ডে স্টিভ স্মিথ থেকে যৌন কেলেঙ্কারি কাণ্ডে টিম পেন, অস্ট্রেলিয়ার আগের দুই অধিনায়ক দলের মুখ পুড়িয়েছেন। তাই পরবর্তী অধিনায়ককে নিয়ে অত্যন্ত সাবধানী অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। দলের কোনও এক ক্রিকেটার, যাঁকে নিয়ে দলের ভিতরে বা বাইরে কোনও বিতর্ক নেই, এমন কাউকে নেতৃত্বের পদে বসাতে চাইছে তারা। দুই মুখ এগিয়ে রয়েছেন দৌড়ে, প্যাট কামিন্স এবং স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়ার এক নামী সংবাদপত্রের খবর, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে, যেখানে নির্বাচক তথা প্রাক্তন অধিনায়ক জর্জ বেইলি, আর এক নির্বাচক টনি ডোডমেড, মুখ্য কর্তা নিক হকলি এবং আরও দু’জন রয়েছেন। ইতিমধ্যেই সহ-অধিনায়ক হিসেবে স্মিথের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বুধবার কামিন্সের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে তিনিই এগিয়ে। স্মিথকে সহ-অধিনায়ক করা হতে পারে।
এই কমিটিতে রাখা হয়নি দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, ল্যাঙ্গারের উপর ভরসা করতে পারছে না বোর্ড। অধিনায়কের দাবিদার দু’জনকেই দলকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে।