ICC ODI World Cup 2023

পায়ের চোট নিয়ে উদ্বেগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা, ছুটলেন হাসপাতালে

টেম্বা বাভুমা যদি চোটের জন্য খেলতে না পারেন, সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অভিশাপ হবে না আশীর্বাদ, এখনই বলা যাচ্ছে না। ওপেনার হিসেবে এই বিশ্বকাপে তাঁর অবদান খুব একটা নজরে পড়েনি কারও।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:০২
Share:

মরিয়া: একটি স্টাম্প নিয়ে অনুশীলনে বাভুমা। সোমবার ইডেনে।  ছবি:সুদীপ্ত ভৌমিক।

সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই চোটের ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন। কলকাতায় এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার অনুশীলন শেষে টিম বাসে না গিয়ে অন্য একটি গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে চোট পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

বাভুমা যদি চোটের জন্য খেলতে না পারেন, সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অভিশাপ হবে না আশীর্বাদ, এখনই বলা যাচ্ছে না। ওপেনার হিসেবে এই বিশ্বকাপে তাঁর অবদান খুব একটা নজরে পড়েনি কারও। বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে কুইন্টন ডি’কককে। বাভুমার ব্যর্থতা মেটানোর দায়িত্ব নিতে হচ্ছে অভিজ্ঞ ওপেনারকে। নতুন বল সামলাতে হচ্ছে র‌্যাসি ফান ডার ডুসেনকেও। এ দিন তাই নেটে শুরুতেই ব্যাট করেন ডুসেন। নতুন বলের বিরুদ্ধে নিজেকে আরও বেশি করে ঝালিয়ে নেন।

অধিনায়ক না হলে বাভুমা হয়তো এই দলে সুযোগও পেতেন না। তাঁর পরিবর্ত রেজ়া হেনড্রিক্স দু’টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন অর্ধশত রান করে। যার পর থেকে আরও চাপে পড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান অধিনায়ক। কিন্তু নিজেকে দলের বাইরে রাখার কোনও রকম ইচ্ছেই দেখা যাচ্ছে না তাঁর মধ্যে। দল কীসে উপকৃত হবে, হয়তো এখনও সেটা বুঝে উঠতে পারেননি তিনি।

Advertisement

বাভুমা যদিও সেমিফাইনালের আগে ছন্দে ফিরে আসতে মরিয়া। এ দিন মাত্র একটি স্টাম্প হাতে নিয়ে নেটে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করলেন। ব্যাটের মাঝখানে বল না লাগলে সাধারণত এই ধরনের অনুশীলন করে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করেন অনেকেই। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরও স্টাম্প দিয়ে নকিং করতেন। তাতে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু চোটের জন্য বাভুমা বেশ চাপে রয়েছেন। ডান-পায়ে এ দিন স্ট্র্যাপ জড়িয়ে কিছুক্ষণ অনুশীলন করেই ফিজ়িয়োর সঙ্গে সময় কাটান।

দক্ষিণ আফ্রিকার অনুশীলনে এ দিন আসেননি কাগিসো রাবাডা, কুইন্টন ডি’কক ও কেশব মহারাজ। বাকিরা সকলেই নেটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাট করেন। ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের ইনিংস। সেই কলঙ্ক মোছার দায়িত্ব হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলারদের। প্রথম বারের মতো দেশকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার মরিয়া চেষ্টা করবেন এডেন মার্করামও। নেটে এ দিন স্পিনারদের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটালেন। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জ়াম্পা চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। তাঁকে সামলানোর সব রকম ছক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement