যশপ্রীত বুমরা। —ফাইল চিত্র।
যশপ্রীত বুমরার কাছে ক্ষমা চাইলেন ইশা গুহ। ইংল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার ভারতীয় পেসারকে ‘বাঁদর’ বলেছিলেন। বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন তিনি। তার পরেই ক্ষমা চাইলেন ইশা।
ব্রিসবেনে বুমরাই একমাত্র বোলার যিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ইশা বুমরাকে ‘এমভিপি— মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট’ বলেন। প্রাইমেট এক প্রজাতির বাঁদর বিশেষ। স্বাভাবিক ভাবেই ইশার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই ২০০৮ সালের ‘মাঙ্কি গেট’ বিতর্কের কথা ফিরিয়ে আনেন। সেখানে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস এবং হরভজন সিংহের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। কিন্তু এখানে এক জন ধারাভাষ্যকার হঠাৎ এক জন ক্রিকেটারের সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করায় বিতর্ক তৈরি হয়।
ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলেন ইশা। ব্রিসবেনে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে নিজের মতব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। ইশা বলেন, “গত কাল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় আমি এমন একটি শব্দ ব্যবহার করি যার অনেক রকম অর্থ হয়। সেই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি সবসময় অন্যদের সম্মান করি। যদি কেউ আমার বলা পুরো মন্তব্যটি শোনেন, তা হলে বুঝতে পারবেন আমি ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের প্রশংসাই করছিলাম। আমি নিজেও বুমরার ভক্ত। কোনও রকম বৈষম্য তৈরি করতে চাই না আমি।” ইশা জানান তিনি এমন কিছু বলতে চাননি যা কাউকে দুঃখ দেবে। ইংরেজ ধারাভাষ্যকার বলেন, “আমি ভুল শব্দ চয়ন করেছি। গভীর ভাবে দুঃখিত। আমি নিজেও দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত। কোনও ভাবেই আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। আশা করি আমার মন্তব্য ম্যাচের গুরুত্ব ছাপিয়ে যাবে না।”
কী বলেছিলেন ইশা? রবিবার ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, “হ্যাঁ, ও তো এমভিপি। তাই না? মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রাইমেট, যশপ্রীত বুমরা।” ধারাভাষ্যকার হিসেবে তখন ইশার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার ব্রেট লি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘বিশ্বের সেরা বোলারের থেকে তো এ রকম বোলিংই আশা করা উচিত। তা ছাড়া বুমরা তো প্রাক্তন অধিনায়কও। প্রথম টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ‘প্রাইমেট’ শব্দটির অর্থ আদিম বাঁদর প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।