রজত পাটীদার। —ফাইল চিত্র।
মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নাকচ করেছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। পরে আবার সেই সিদ্ধান্তেই ফিরে আসেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা) ফাইনালে এমন কাণ্ডই ঘটল রবিবার। যা ঘিরে তৈরি হল বিতর্কও।
রবিবার ফাইনালে বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই এবং মধ্যপ্রদেশ। সেই ম্যাচে মধ্যপ্রদেশ প্রথমে ব্যাট করে। তাদের ইনিংসের শেষ ওভারটি করছিলেন মুম্বইয়ের শার্দূল ঠাকুর। তাঁর ষষ্ঠ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। ব্যাট এগিয়ে দিলেও ছুঁতে পারেননি মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক রজত পাটীদার। মাঠের আম্পায়ার ওয়াইডের সিদ্ধান্ত জানান। মুম্বই রিভিউ নেয়। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে ওয়াইডের সিদ্ধান্ত নাকচ করেন। এর পরেই তৈরি হয় বিতর্ক।
তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি পাটীদার। তিনি মাঠ ছাড়তে চাননি। মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বল কোথায় ড্রপ পড়েছে সেটা দেখান। বাধ্য করেন আরও এক বার তৃতীয় আম্পায়ারকে বলটি দেখার। রিপ্লে দেখার পর তৃতীয় আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদলে দেন। তিনি দেখেন বল যেখানে ড্রপ পড়েছে তাতে ওয়াইড হওয়ার কথা। ফলের মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া ওয়াইডের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন তিনি, নাকচ করেন নিজের দেওয়া আগের সিদ্ধান্তটি। বলেন, “আমি দুঃখিত, বল পপিং ক্রিজ়ের বাইরে ছিল। আমি সেটা দেখিনি।”
শেষ ওভারের শেষ বলটি আবার এক বার করতে বাধ্য হন শার্দূল। সেই বলে ছক্কা মারেন পাটীদার। যার ফলে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৭৪ রানে। যদিও মুম্বইয়ের জিততে অসুবিধা হয়নি। ১৭.৫ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয় শ্রেয়স আয়ারের দল।