শ্রেয়স আয়ার। — ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স আয়ার। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলা এবং বোর্ডের নির্দেশ না মানার শাস্তি হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার আরও একটি তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, চোট পুরোপুরি সারানোর আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। তাতেই তাঁর উপরে রেগে গিয়েছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। সে কারণেই কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে শ্রেয়স বাদ পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
দ্বিতীয় টেস্টের পর শ্রেয়স দল পরিচালন সমিতিকে জানান, দীর্ঘ ক্ষণ ক্রিজে ব্যাট করলে তাঁর পিঠে ব্যথা হয়েই চলেছে। তিনি চোট সারাতে চান। ফলে তাঁকে বাকি তিন টেস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এমন সময় মুম্বইয়ের প্রধান নির্বাচক রাজু কুলকার্নিকে ফোন করে রঞ্জিতে না খেলার ব্যাপারে জানিয়ে দেন। তবে চোট সারাতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেও (এনসিএ) যাননি।
এক ওয়েবসাইটের দাবি, মুম্বইয়ে কেকেআরের অ্যাকাডেমিতে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। সেখানে কেকেআরের কোচেদের অধীনে অনুশীলন করেন। জানতে পেরে শ্রেয়সের উপরে রেগে যান আগরকর। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নির্বাচকদের মতই প্রাধান্য পায়। সেখানে শ্রেয়সকে রাখতে বারণ করেন তিনি।
তবে কেকেআর অ্যাকাডেমির এক সূত্রের দাবি, নিজের ওয়ার্কলোড সামলাতেই গিয়েছিলেন শ্রেয়স। তাঁর কথায়, “৬০ বল খেলার পরেই পিঠে ব্যথা হচ্ছিল শ্রেয়স। সেই কাজ করতেই গিয়েছিল। এখন প্রত্যেক সেশনে ২০০টা বল খেলছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে পেশির ওজন তিন কিলো বেড়েছে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা এবং দলের প্রধান কোচকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। মুম্বই কোচ নিজেও একাধিক বার কেকেআর অ্যাকাডেমিতে এসে শ্রেয়সের চোট পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার পরেই রঞ্জির সেমিফাইনালে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন।