রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপ জেতার পরেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়। কিন্তু সেই তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে প্রথম দু’টি ম্যাচে নেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্য। কেন তাঁদের দু’টি ম্যাচে বসানো হল? জানালেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর।
সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল ঘোষণা করে। সেই দলে প্রথম দু’টি ম্যাচের জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে রোহিত, বিরাট, হার্দিক এবং কুলদীপ যাদবকে। তাঁদের বিশ্রাম দিয়ে বিশ্বকাপের আগে তরতাজা রাখতে চাইছে ভারত। আগরকর বলেন, “রোহিত বিশ্রাম চেয়েছে। বাকিদের একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। রোহিত আর বিরাট পর পর খেলেই চলেছে। হার্দিক এবং কুলদীপ খেলেছে। এশিয়া কাপে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে ওরা। মানসিক ভাবে ওদের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। তৃতীয় ম্যাচে পুরো শক্তি নিয়ে নামবে ভারত।”
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ই ভারতের প্রস্তুতি নেওয়ার সেরা জায়গা বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সিরিজ়েই একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিল ভারত। শেষ ম্যাচে যদিও সকলে ফিরবেন। বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে সিরিজ় খেলবে ভারত, সেখানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে ফেরানো হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দলে ফেরানো হল। অক্ষর পটেলের চোট এখনও সারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে তাঁকে দলে রাখা হয়নি। শেষ ম্যাচে রাখা হলেও দেখা হবে তিনি সুস্থ কি না। এমন পরিস্থিতিতে অশ্বিনকে দলে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দলে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দরও। অক্ষর বিশ্বকাপের দলে রয়েছেন। কিন্তু চোট না সারলে অন্য কাউকে দলে নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে অশ্বিন এবং ওয়াশিংটনকে তৈরি রাখতে চাইছে ভারত।
প্রথম দুই ম্যাচের দল: কেএল রাহুল (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাডেজা (সহ-অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ার, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, ঈশান কিশন, শার্দূল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
তৃতীয় ম্যাচের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পাণ্ড্য (সহ-অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, সূর্যকুমার যাদব, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাডেজা, শার্দূল ঠাকুর, অক্ষর পটেল (ফিটনেসের উপর নির্ভর করছে), ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ।