—ফাইল চিত্র
ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা ছেড়েছেন ২ জুলাই। মাসের শুরুতেই সিএবি-তে গিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে আসেন তিনি। সে দিন সিএবি-তে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া এবং স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সিএবি প্রধান অভিষেক রবিবার জানালেন ঋদ্ধিকে মর্যাদা দিতেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রবিবার চুঁচুড়ায় হুগলি ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনে ইন্ডোর অ্যাস্ট্রো স্টার্ফের উদ্বোধন করলেন অভিষেক। সেই অনুষ্ঠানে এসেই অভিষেক বললেন, “আমরা অনুরোধ করেছিলাম ঋদ্ধিকে বাংলার হয়ে খেলার জন্য। ও অনেক বড় মাপের ক্রিকেটার। অনেকে বলছেন আমাদের সঙ্গে ঋদ্ধির মতবিরোধ হয়েছে। কোনও মতবিরোধ হয়নি। কেউ যদি অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে চায় তার ইচ্ছাকে মর্যাদাকে জানাতে হয়। ও চাইছে ত্রিপুরার হয়ে খেলতে, আমরা এখানে খেলতে বলেছিলাম। ও রাজি হয়নি। ঋদ্ধির জন্য শুভেচ্ছা রইল।”
২ জুলাই সিএবি-র থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ঋদ্ধি বলেছিলেন, “আমাকে আগে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই ছাড়পত্র নিয়েই নিলাম।”
চুঁচুড়ায় হুগলি ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনে ইন্ডোর অ্যাস্ট্রো স্টার্ফের উদ্বোধন করলেন অভিষেক। —নিজস্ব চিত্র
ইডেনের পর রাজ্যে দ্বিতীয় সিন্থেটিক ফাইবার পিচ তৈরি হল চুঁচুড়ায়। খরচ হল ১৩ লক্ষ টাকা। অভিষেক বললেন, “জেলায় জেলায় ক্রিকেটার তুলে আনতে আগামী দিনে এরকম আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সারা বছর ক্রিকেটাররা যাতে অনুশীলন করতে পারে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। বর্ষাকালে খোলা মাঠে খেলতে সমস্যা হয়, তাই ইন্ডোরে এই কৃত্রিম পিচ তৈরি করা হল।”
অরুণ লাল বাংলার কোচিং ছেড়ে দেওয়ার পর নতুন কোচের সন্ধান চলছে। সিএবি সভাপতি বললেন, “তিন চার দিনের মধ্যে আশা করা যায় বাংলা দলের দায়িত্বে নতুন কোচ পাওয়া যাবে।”