Wriddhiman Saha

Wriddhiman Saha: ঋদ্ধিমানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সেই সাংবাদিককে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করল বোর্ড

ঋদ্ধিমান একটি টুইট করেন ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেই টুইটে তিনি অভিযোগ করেন যে এক সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। ঋদ্ধি লেখেন, ‘ভারতীয় দলে এত দিন খেলার পর এই প্রতিদান পেলাম। একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে এই রকম ব্যবহার পাচ্ছি। এটা সাংবাদিকতা!’ এই টুইটের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপের ছবি দেন ঋদ্ধি। সেখানে দেখা যায় এক সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ১৫:৪২
Share:

ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র

ঋদ্ধিমান সাহার পক্ষেই রায় দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বাংলার উইকেটরক্ষককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদারকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করল বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে বোর্ড সাংবাদিককে নির্বাসিত করেছে।

নির্বাসিত থাকার সময়ে ভারতের কোনও ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রবেশাধিকার পাবেন না। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা কোনও ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না সেই সাংবাদিক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কোনও রকম সুবিধা নিতে পারবেন না তিনি।

Advertisement

ঋদ্ধিমান একটি টুইট করেন ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেই টুইটে তিনি অভিযোগ করেন যে এক সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। ঋদ্ধি লেখেন, ‘ভারতীয় দলে এত দিন খেলার পর এই প্রতিদান পেলাম। একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে এই রকম ব্যবহার পাচ্ছি। এটা সাংবাদিকতা!’ এই টুইটের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপের ছবি দেন ঋদ্ধি। সেখানে দেখা যায় এক সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।

এর পর ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি টুইট করেন ঋদ্ধি। সেখানে লেখেন, ‘আমি আঘাত পেয়েছি এবং বিক্ষুদ্ধ হয়েছি। আমি চাইনি এই ধরনের পরিস্থিতি দিয়ে অন্য কাউকে যেতে হোক। সেই জন্যই মেনে নিইনি এই ধরনের আচরণ। সেই জন্যই ঘটনা সকলের সামনে তুলে ধরি, তবে আমি তাঁর নাম জানাতে চাই না। আমি এ রকম স্বভাবের নই যে এক জনের কেরিয়ার শেষ করে দেব। মনুষ্যত্ব বজায় রেখে আমি তাঁর নাম নিইনি। পরিবার, পরিজনের সামনে যাতে তাঁকে ছোট হয়ে যেতে না হয়। তবে এমন পরিস্থিতি যদি আবার তৈরি হয় তা হলে কিন্তু আমি থেমে যাব না। যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

Advertisement

ঋদ্ধিকে হুমকি দিয়ে জনৈক সাংবাদিকের পাঠানো মোবাইল মেসেজের তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কমিটিতে ছিলেন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রভতেজ সিংহ।

সেই সাংবাদিকের নাম জনসমক্ষে নেননি ঋদ্ধি। বোর্ডের কাছে তাঁর নাম জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাংবাদিক নিজেই নেটমাধ্যমে ঋদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সামনে আসেন। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ভিডিয়োতে ঋদ্ধিমানের পোস্ট করা স্ক্রিনশটের পাশাপাশি নিজের স্ক্রিনশটও সামনে আনেন। সেই দু'টি স্ক্রিনশট পাশাপাশি রেখে তিনি অভিযোগ করেন, “ঋদ্ধি ইচ্ছাকৃত ভাবে বার্তা পাঠানোর তারিখ মুছে দিয়েছেন এবং একটি মিসড কল মাঝখানে জুড়ে দিয়েছেন। উনি বোঝাতে চেয়েছেন যে এটা একই দিনের বার্তা। প্রথমত মিসড কলের সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা আর তার আগে পাঠানো বার্তার সময় রাত ১০টা ১৯ মিনিট। দ্বিতীয়ত হোয়াটসঅ্যাপে আলাদা দিনে বার্তা পাঠালে তবেই মাঝে তারিখ আসে। আমার স্ক্রিনশট দেখলেই বোঝা যাবে ঋদ্ধি কী ভাবে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।”

ঋদ্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন সেই সাংবাদিক। সেই কাগজ সামনে আনবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তা সামনে আনেননি। বোর্ডের কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর ঋদ্ধি বলেছিলেন, ‘‘যা হয়েছে আমি সব বলেছি বিসিসিআই-কে। ওদের থেকেই আপনারা জানতে পারবেন।’’

বুধবার এএনআই-এর তরফে জানানো হয়েছে সেই সাংবাদিককে নির্বাসিত করা হয়েছে। তবে ভারতীয় বোর্ড নির্বাসিত করলেও, আইসিসি কী করবে তা এখনও জানা যায়নি। শোনা গিয়েছিল বোর্ড আইসিসি-কে অনুরোধ করবে সেই সাংবাদিককে নির্বাসিত করার জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement