Pakistan Cricket

নেতাহীন পাকিস্তান ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইস্তফা অধিনায়কের

২০১৩ সালে প্রথম পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বিসমা। ২০১৬ সালে তাঁকে স্থায়ী ভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটের মুখ বিসমা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ২২:১৭
Share:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইস্তফা পাকিস্তানের অধিনায়কের। ছবি: টুইটার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইস্তফা দিলেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমা মারুফ। বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল পাকিস্তান। দেশের হয়ে অবশ্য খেলা চালিয়ে যাবেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

Advertisement

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজে ভাল ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসাবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমা। এক মাত্র আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। শুধু বিশ্বকাপ নয়, গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স বেশ সাদামাঠা। সমাজমাধ্যমে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছেন বিসমা। তিনি লিখেছেন, ‘‘জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার থেকে বড় সম্মান আমার কাছে কিছু নেই। আমার মনে হয়েছে এটাই পরিবর্তনের সেরা সময়। তুলনায় কম বয়সের কোনও ক্রিকেটারকে অধিনায়ক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। নতুন অধিনায়ক সব সময় আমার সাহায্য, পরামর্শ পাবে। দলকেও যতটা সম্ভব ততটাই সাহায্য করব।’’

বিসমা পাকিস্তানকে প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে। যদিও ২০১৬ সালে তিনি স্থায়ী ভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। সানা মীরের পরিবর্তে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিসমার নেতৃত্বে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল ৩৪টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৬২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২২ সালে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপ খেলে পাকিস্তান। গত বছর কমনওয়েলথ গেমসেও পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন বিসমা।

Advertisement

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিসমা ৪৯ গড়ে করেছিলেন মোট ৯৮ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৪.২৫। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছিলেন হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে। তাঁকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা মহিলা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

এখনও পর্যন্ত বিসমা পাকিস্তানের হয়ে ১২৪টি এক দিনের ম্যাচে করেছেন ৩১১০ রান। সর্বোচ্চ ৯৯। ১৮টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। অন্য দিকে ১৩২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬৫৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭০। ২০ ওভারের ক্রিকেট তাঁর অর্থশতরানের সংখ্যা ১২। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৪টি এবং টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ৩৬টি উইকেটও রয়েছে ৩১ বছরের অলরাউন্ডারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement