(বাঁদিক থেকে) অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি, কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং অনুষ্টুপ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাতের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে জিতল বাংলা। ৮ উইকেটে জিতলেন সুদীপ ঘরামিরা। রাজকোটে প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত তোলে ২৮৩ রান। সুদীপ ঘরামি এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের শতরানে বাংলা বিজয় হজারের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ৪ ওভার বাকি থাকতেই। পর পর দু'ম্যাচে শতরান করলেন অনুষ্টুপ।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুদীপ। মুকেশ কুমার এবং আকাশ দীপ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ায় এই ম্যাচে বাংলার পেস আক্রমণ সামলান ঈশান পোড়েল এবং মহম্মদ কইফ। সেই সঙ্গে অভিষেক হয় সুমন দাসের। তিনি বাংলার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ২ উইকেট তুলে নেন। ২ উইকেট নেন স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকও। একটি করে উইকেট নেন করণ লাল, ঈশান এবং কইফ। বাংলার বোলারদের দাপটে গুজরাতের ব্যাটারেরা বড় রানের জুটি গড়তে পারেননি।
গুজরাতের হয়ে শতরান করেন প্রিয়ঙ্ক পঞ্চল। ১১৪ বলে ১০১ রান করেন গুজরাতের ওপেনার। কিন্তু অন্য ওপেনার উরভিল পটেল মাত্র ৯ রান করে রান আউট হয়ে যান। ক্ষিতিজ পটেল তিন নম্বরে নেমে ৭ রান করেন। কিন্তু ২ উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে গুজরাত। সৌরভ চৌহান এবং প্রিয়ঙ্ক ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৫৩ রান করে আউট চৌহান। এই ম্যাচে খেলেন অক্ষর পটেল। তবে তিনি ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
পাঞ্চাল শতরান করে আউট হওয়ার পরে মনে হচ্ছিল ২৫০ রানের বেশি করতে পারবে না গুজরাত। কিন্তু শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন উমঙ্গ। তাঁর ৪৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস গুজরাতকে ভাল জায়গায় নিয়ে যায়।
গুজরাতের দেওয়া ২৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শাকির হাবিব গান্ধী কোনও রান না করে আউট হয়ে যান। অন্য ওপেনার অভিষেক পোড়েল করেন ৪৭ রান। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলা। সেখান থেকে দলকে জেতালেন সুদীপ এবং অনুষ্টুপ। দু'জনেই শতরান করে অপরাজিত থাকেন। ১৩২ বলে ১১৭ রান করেন সুদীপ। অনুষ্টুপ করেন ১০২ রান।