মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
এক সময় ইনিংসে হারের আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। মনোজ তিওয়ারি এবং অভিষেক পোড়েল মিলে সেই আশঙ্কা প্রায় দূর করে ফেলেছেন। মুম্বইয়ের থেকে আর ৩০ রান পিছিয়ে বাংলা।
রবিবার সকালে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলা। ৭৪ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়ার পর মনোজ এবং অভিষেক মিলে দলের হাল ধরেন। তাঁরা ৫২ রানের জুটি গড়েন। মনোজ ২৬ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টানেন তরুণ অভিষেক। ৭৪ রানে ব্যাট করছেন তিনি। করণ লাল ১২ রানে আউট হয়ে যান। ক্রিজ়ে রয়েছেন সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। বল হাতে ৬ উইকেট নেওয়া সূরজ এখন ব্যাট হাতে ভরসা দলের।
প্রথম ইনিংসে মুম্বই ৪১২ রান তোলে। বাংলার বোলারদের লাইন, লেংথে সমস্যা ছিল। দ্বিতীয় দিনের সকালে মুম্বইকে দ্রুত আউট করার পরিকল্পনা ছিল মনোজ তিওয়ারিদের। কিন্তু বাংলার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাদে কোনও বোলারকেই উইকেট নেওয়ার মতো বল করতে দেখা যায়নি। অফ স্টাম্পের বাইরে বল করে গেলেন ঈশান পোড়েলেরা। উইকেট ছেড়ে খেলেও রান করে গেলেন মুম্বইয়ের এগারো নম্বরে নামা রয়স্টন ডায়াস। ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন এই বোলার।
ব্যাট করতে নেমেও ব্যর্থ হয় বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদার ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক মনোজ করেন ৩৬ রান। অন্য কোনও ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৯৯ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয় সেখানেই। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাকে ফলো অন করায় মুম্বই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও বাংলার ব্যাটারদের ভুল শোধরাতে দেখা যায়নি। মুম্বই ফিল্ডারদের ক্যাচ নেওয়ার অনুশীলন করালেন সৌরভ পাল (২৫) এবং শ্রেয়াংশ ঘোষ (৫)। সুদীপ ঘরামি করেন ২০ রান। বাংলার ইনিংস ধরতে সেই ভরসা ছিলেন মনোজ এবং অনুষ্টুপ। কিন্তু প্রতি ইনিংসে রান করা তাঁদের পক্ষেও কঠিন হয়। অনুষ্টুপ ১৪ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে যান। মনোজ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারলেন না বড় রান করতে।
বাংলা এই ম্যাচ হেরে গেলে নক আউট যাওয়ার রাস্তা কঠিন হবে। হাতে থাকবে দু'টি ম্যাচ। কেরল এবং বিহারের বিরুদ্ধে সেই দুই ম্যাচে জিতলেও নক আউটের রাস্তা খোলা কঠিন। কারণ মুম্বই নিজেদের জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলেছে। লড়াই চলছে অন্ধ্র, উত্তরপ্রদেশ এবং চণ্ডীগড়ের মধ্যে।