জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যাচ্ছেন রাসমণি দাস। —নিজস্ব চিত্র
ঝুলন গোস্বামী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মালদার চাঁচলের রাসমণি দাস। ভারতের জাতীয় দলে প্রশিক্ষণের ডাক পেয়েছে এই কিশোরী। অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন রাসমণি। এনসিএ-র তরফে ইতিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের চিঠি হাতে পেয়েছেন তিনি। এনসিএ-র তরফে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ বিজয়নগরমে ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে। যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
রাসমণির এই সফর সহজ ছিল না। বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতি সচ্ছল নয়। অভাব-অনটন সঙ্গী। বাবা রবীন্দ্রনাথ দাস পেশায় লটারি বিক্রেতা। চাঁচলের বাসস্ট্যান্ডে একটি ছোট গুমটি রয়েছে তাঁর। ফলে মেয়েকে ক্রিকেট শেখানোর মতো সামর্থ্য নেই। বছর চারেক আগে চাঁচল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক রাজেশ দাস এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বালিকা ও কিশোরীদের ক্রিকেট খেলায় উৎসাহী করে তুলতে শুরু করেছিলেন। সেই সময় থেকে তাঁর কাছে ক্রিকেট শেখা শুরু রাসমণির।
রাজেশের হাত ধরেই ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি হয় রাসমণির। রাজেশ ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের নিয়েও ক্রিকেট দল গড়ে তোলেন। তাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭ থেকে ১৭ বছরের মেয়েরা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
রাসমণির এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তার সতীর্থরা। খুশি প্রশিক্ষক রাজেশও। তিনি রাসমণিকে উপদেশ দিয়েছেন নিজের প্রতিভার উপর বিশ্বাস রেখে পরিশ্রম করে যাওয়ার জন্য।