মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেটার তৈরি করার মঞ্চ রঞ্জি ট্রফি। আর সেখানেই ম্যাচ পরিচালনা করেছেন মত্ত আম্পায়ারেরা। এমনটাই অভিযোগ মনোজ তিওয়ারির। বাংলার বহু যুদ্ধের নায়ক সদ্য ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার হয়েই রঞ্জি নিয়ে অভিযোগ করছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক।
দেশের হয়ে ১২টি এক দিনের ম্যাচ এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মনোজ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করেছেন। সেই মনোজ বলেন, “যদি ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা হয়, তাহলে আম্পায়ারদেরও হওয়া উচিত। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারদের। অনেক সময়ই আম্পায়ারদের দেখেছি রাতের নেশা না কাটিয়ে সকালে মাঠে নামতে। ঘুম জড়ানো চোখে রঞ্জিতে আম্পায়ারিং করতে দেখেছি অনেককে। এমন অবস্থায় ঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন কী করে তিনি?”
একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন মনোজ। তিনি বলেন, “আমি এক বার এক আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্যর, কাল রাতে কী খেলেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বরফ দিয়ে হুইস্কি খেতে পছন্দ করি।’ প্রতি মরসুম শুরুর আগে আম্পায়ারদের চোখ পরীক্ষা করা উচিত বোর্ডের। তাঁদের কানও পরীক্ষা করা উচিত।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারের মানও উন্নত করা উচিত বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, “আম্পায়ারিংটাই আমার কাছে সব থেকে চিন্তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান খুব খারাপ। বোর্ডের এই বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা এক দুটো মরসুমের ব্যাপার নয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই এটা দেখছি। শিশুর মতো ভুল করেন অনেক আম্পায়ার।”
রঞ্জির মাঝেই রঞ্জি তুলে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন মনোজ। সমাজমাধ্যমে সে কথা লিখেওছিলেন। সেই কারণে ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গিয়েছিল তাঁর। সেই কারণে রঞ্জির মাঝে এই নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। অবসর নেওয়ার পরেই মুখ খুললেন মনোজ।