—ফাইল চিত্র
বাংলা দলের দীর্ঘ দিনের সৈনিক ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি হঠাৎ খেলতে না চাওয়ায় অবাক হয়েছেন অরুণ লাল। বর্তমানে তিনি বাংলা দলের কোচ হলেও বুধবার ঋদ্ধিকে ফোন করেছিলেন ব্যক্তিগত ভাবেই। একজন সিনিয়র হিসাবে ঋদ্ধিকে বোঝাতে চেয়েছিলেন অরুণ। সেখানে ঋদ্ধি জানিয়েছেন তাঁর খারাপ লাগার কথাও।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় অরুণের সঙ্গে। বাংলার কোচ বললেন, “ঋদ্ধির খুব খারাপ লেগেছে। ও বলছিল, ‘অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে বাংলার হয়ে খেলছি। কত রক্ত ঝরিয়েছি এই দলের জন্য।’ আমি ওকে বলেছি, মাঠে নেমে জবাব দেওয়ার জন্য। ব্যাট হাতেই উত্তর দেওয়া উচিত।” রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বে খেলতে চাননি ঋদ্ধি। ব্যক্তিগত কারণে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বাংলার ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাতেই খারাপ লাগে ঋদ্ধির।
নক-আউট পর্বের জন্য যে বাংলা দল বেছে নেওয়া হয়েছে তাতে রাখা হয়েছে ঋদ্ধিকে। কিন্তু শোনা যায়, ঋদ্ধিকে জিজ্ঞেস করা হয়নি দলে রাখার আগে। অনেকের যদিও প্রশ্ন, দল তৈরির আগে একজন ক্রিকেটারকে ফোন করা হবে কেন? কিন্তু ঋদ্ধির অভিমান হয়। তিনি বাংলা দল থেকে অব্যাহতি চান। এমন অবস্থায় ঋদ্ধিকে ফোন করেন অরুণ লাল।
বাংলার কোচ বললেন, “আমার মতে ঋদ্ধির উচিত বাংলার হয়ে খেলা। দারুণ ছন্দে রয়েছে ও। বাংলা রঞ্জির নক-আউটে খেলবে। ঋদ্ধির উচিত বাংলাকে জিততে সাহায্য করা। ও যদি একটা শতরান করে দেয় বা দুশো করে, তা হলে নায়ক হয়ে যাবে। বেশি দিন ঋদ্ধির হাতে নেই। ওর কাছে সুযোগ রয়েছে বাংলাকে জেতানোর। ব্যাট হাতে বাংলার হয়ে মাঠে নামা উচিত ওর। কে কী বলল, তাতে কী যায় আসে।”
একটা সময় বাংলার হয়ে খেলেছেন অরুণও। বাংলার রঞ্জিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। অরুণ মনে করেন, তিনি সিএবি-র কাছে কৃতজ্ঞ তাঁকে খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। সব ক্রিকেটারের তাঁর রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত বলে মনে করেন অরুণ।
দল নির্বাচনের পর অরুণ বলেছিলেন, তিনি ঋদ্ধিকে তাঁর দলে চান। ঋদ্ধির অভিজ্ঞতা হারাতে চাইছেন না অরুণ। বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি জেতাতে ঋদ্ধির অভিজ্ঞতা যে গুরুত্বপূর্ণ, তা জানেন অরুণ। তাই ঋদ্ধি খেলতে না চাইলেও, তাঁকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। অরুণ বললেন, “আমার মনে হয়েছে ওর সঙ্গে এক বার কথা বলা প্রয়োজন। তাই বলেছি। এ বার ও খেলবে কি না সেটা একে বারেই ওর সিদ্ধান্ত। না খেলাটা কোনও কাজের কথা নয়। আমি চাইব ঋদ্ধি খেলুক।”