লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর নিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সেই কথা জানিয়েছিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। শুক্রবার মনোজকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
দীর্ঘ দিন মনোজ এবং লক্ষ্মী একসঙ্গে খেলেছেন। বাংলাকে বহু ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তাঁদের। গত মরসুমে লক্ষ্মী কোচ হন বাংলার। রঞ্জি ট্রফিতে মনোজকে অধিনায়ক করা হয়। তাঁদের জুটি বাংলাকে ফাইনালেও তোলে। কিন্তু ইডেনে সেই ফাইনাল জিততে পারেনি বাংলা।
প্রাক্তন সতীর্থ অবসর নেওয়ার পর তাঁর উদ্দেশে লক্ষ্মী বলেন, “কী অপূর্ব কেরিয়ার তোমার মনোজ। যত বলব, তত কম হবে। কী অসাধারণ মানসিকতা। ক্রিকেটার হিসাবে তুমি আমাদের সকলকে গর্বিত করেছ। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমরা যে সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি, তা মনে থেকে যাবে। অনেকে অনেক কিছু শিখেছে তোমার থেকে। আশা করছি আগামী দিনেও সেটা হবে। দেখা হলে আরও অনেক কথা হবে। তোমার সম্পর্ক যত বলি, ততই কম মনে হয়।”
লক্ষ্মী বাংলার হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন মনোজের নেতৃত্বেই। তাঁরা দু’জনেই হাওড়ার বাসিন্দা। লক্ষ্মী ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেন। তৃণমূলের হয়ে ভোটে জিতে হাওড়া উত্তরের বিধায়ক হিসাবেও কাজ করেছিলেন। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। যদিও পাঁচ বছর পরেই রাজনীতি ছেড়ে আবার ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন লক্ষ্মী। বাংলার কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন।
মনোজ রাজনীতিতে যোগ দেন ২০২১ সালে। তৃণমূলে যোগ দেন। ভোটে জিতে এখন শিবপুরের বিধায়ক তিনি। লক্ষ্মীর ছেড়ে যাওয়া ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব এখন মনোজের কাঁধে। রাজনীতি এবং ক্রিকেট একসঙ্গে সামলাচ্ছিলেন মনোজ। হাঁটুর চোটের কারণে মাঝে অনেকটা সময় খেলতে পারেননি। সেই চোট সারিয়ে ফিরে আসেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বাংলার জার্সিতে রঞ্জি জয়। সেটা শেষ পর্যন্ত হল না। তার আগেই ক্রিকেট ছেড়ে দিলেন মনোজ।
মনোজের অবসরের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও। বাঙালি উইকেটরক্ষক সমাজমাধ্যমে লেখেন, “তোমার এই দীর্ঘ কেরিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা। একসঙ্গে খেলার দিনগুলো খুব আনন্দের ছিল। সেই সব স্মৃতিগুলো এখনও তাজা আমার মনে। আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।” ঋদ্ধি বাংলার ক্রিকেট দল ছেড়ে এখন ত্রিপুরার হয়ে খেলেন। ভারতীয় দলে এখন আর জায়গা না পেলেও আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স দলের অন্যতম ক্রিকেটার তিনি।