সৌহার্দ: লক্ষ্মীর সঙ্গে নাগাল্যান্ড। ছবি: ফেসবুক।
ডিমাপুরে আজ, মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। তুলনামূলক ভাবে দুর্বল দল হলেও বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল তাদের একেবারেই হাল্কা ভাবে নিতে চান না। ইডেনে শেষ ম্যাচে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে জেতার সুযোগ পেয়েও ম্যাচ ড্র করে ফেরেন মনোজ তিওয়ারিরা। কিন্তু নাগাল্যান্ড ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিয়েই দেহরাদূন উড়ে যেতে চায় বাংলা।
নাগাল্যান্ডকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কারণও নেই। কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রীকান্ত মুন্ধে সে দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তাঁর সেঞ্চুরির সৌজন্যেই উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গিয়েছিল নাগাল্যান্ড। কিন্তু শেষ ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরেছে নাগাল্যান্ড। তাই বাংলার বিরুদ্ধে নামার আগে তারা বেশ চাপেই রয়েছে। বাংলা যদিও খাতায়-কলমে অনেকটাই বেশি শক্তিশালী দল, কিন্তু ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ ভাল জায়গা থেকে ড্র হওয়ায় তারাও নাগাল্যান্ডকে সমীহই করছে।
ডিমাপুরের পিচ নাকি ব্যাটারদের স্বর্গ। উত্তরপ্রদেশ এই পিচে প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেটে ৫৫১ রান তুলেছিল। পরের দিকে ভাঙতে শুরু করছে পিচ। তাই চার পেসার নিয়ে খেলবে না বাংলা। দলে নেওয়া হতে পারে একজন অতিরিক্ত স্পিনারকে। ফের প্রথম একাদশে ফেরানো হতে পারে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। তিনি আসতে পারেন রবিকান্ত সিংহের পরিবর্তে। রবিকান্তের গোড়ালিতে চোট রয়েছে। মঙ্গলবারের ম্যাচে তিনি খেলবেন কি না, এখনও পরিষ্কার নয়।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছিলেন, ‘‘নাগাল্যান্ডকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কিছু নেই। ওরা উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। দিমাপুর ওদের ঘরের মাঠ। এখানের পিচ ও পরিবেশ সম্পর্কে ওরা অনেক বেশি ওয়াকিবহাল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘উইকেট দেখেছি। মনে হয়েছে খুব ভাল ব্যাটিং উইকেট। কিন্তু পরের দিকে বল ঘুরতে পারে। তাই অতিরিক্ত পেসার না খেলিয়ে একজন স্পিনার রাখতে পারি।’’
শেষ ম্যাচ ড্র করলেও তা নিয়ে আর ভাবছে না বাংলা শিবির। লক্ষ্মীর কথায়, ‘‘যা হয়েছে, তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। এ বার এগিয়ে যাওয়ার সময়। বাংলা দল এই ম্যাচটি জিততে মরিয়া। এখান থেকে পয়েন্ট নষ্ট করে আমরা দেহরাদূন উড়ে যেতে চাই না।’’