বেন স্টোকস। ছবি: বিসিসিআই।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর থেকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। যাকে বলা হচ্ছে ‘বাজ়বল’। (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার নতুন এই দর্শন লাল বলের ক্রিকেটে একাধিক সাফল্য এনে দিয়েছে বেন স্টোকসের দলকে। ভারত সফরে এসে হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জিতে তাঁদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পর পর তিন টেস্ট হেরে সিরিজ় খুইয়েছে ইংরেজরা। এর পর আর ‘বাজ়বল’ নিয়ে উন্মাদনা থাকবে বলে মনে করছেন না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, ‘বাজ়বল’ নিয়ে এত দিনের উন্মাদনাকে হত্যা করেছে ভারত।
রাঁচী টেস্টে ভাল জায়গায় থেকেও ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ টেস্টের সিরিজ় হেরেছে ইংল্যান্ড। এ জন্য ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের নছোড় মানসিকতাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন স্টোকস। মেনে নিয়েছেন, তাঁদের আগ্রাসী ক্রিকেটকেই পাল্টা চাপে ফেলেছে ভারতীয় দল। ভারতের মাটিতে কাজে আসেনি তাঁদের আগ্রাসী ক্রিকেটের কৌশল। হায়দরাবাদ টেস্ট জেতার পর ‘বাজ়বল’কে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও। বিশাখাপত্তনম টেস্ট চলার সময় তিনি বলেছিলেন, ৬০০ রান তাড়া করেও জিততে পারেন তাঁরা। কার্যক্ষেত্রে ইংরেজদের হুঁশিয়ারি কাজে আসেনি।
‘বাজ়বল’ শুরুর পর এই প্রথম টানা তিনটি টেস্ট হারল স্টোকসের দল। অধিনায়ক হিসাবে এই প্রথম কোনও টেস্ট সিরিজ় হারলেন স্টোকস। সম্ভবত সে কারণেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ‘বাজ়বল’ নিয়ে এত দিনের উন্মাদনা শেষ হল ভারতের মাটিতে। পাকিস্তানের মাটিতেও সফল হয়েছিলেন তাঁরা। তাই রোহিত শর্মার দলের হাতে এত দিনের উন্মাদনার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল।