আইপিএল নিলামের আগে সব দলগুলিই জানিয়ে দিয়েছে তারা কাদের রাখবে। বিরাট কোহলী, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা আগের থেকে কম টাকায় থেকে গিয়েছেন। আবার বেঙ্কটেশ আয়ার, রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের মতো ক্রিকেটারদের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি দল সর্বাধিক চার জন করে ক্রিকেটারকে রাখতে পেরেছে। তার মধ্যেও ভারতীয় এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যার ক্ষেত্রে নিয়ম বাঁধা ছিল।
স্বাভাবিক ভাবেই সফল, তারকা বহু ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। দেখে নেওয়া যাক, নিলামের আগে কোন দল কোন তারকাকে রাখতে পারল না।
চেন্নাই সুপার কিংস: চেন্নাইকে ছাড়তে হয়েছে ফ্যাফ দু’প্লেসিকে। গত মরসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার। দীর্ঘ দিনের যোদ্ধা সুরেশ রায়নাকেও তারা ছেড়ে দিয়েছে।
এ ছাড়াও চেন্নাই ছেড়েছে গত মরসুমে ১৪টি করে উইকেট নেওয়া ডোয়েন ব্র্যাভো এবং দীপক চাহারকে।
দিল্লি ক্যাপিটালস: অধিনায়কত্ব পাবেন না জানার পর শ্রেয়স আয়ার যে আর দিল্লিতে থাকবেন না, এক রকম নিশ্চিত ছিল। গত মরসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক আবেশ খানকেও রাখতে পারেনি দিল্লি।
দিল্লি রাখেনি ১৫টি উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাডা এবং অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: কেকেআর-কে ছেড়ে দিতে হয়েছে গত মরসুমের অধিনায়ক অইন মর্গ্যানকে। ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে যাঁকে ভাবা হচ্ছিল সেই শুভমন গিলকেও ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা।
প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকেরও জায়গা হয়নি কলকাতার পছন্দের চারে। গত মরসুমে ১৩টি উইকেট নিয়ে কলকাতার তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক লকি ফার্গুসনকেও রাখতে পারেনি তারা।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: সম্ভবত চোটের কথা ভেবেই হার্দিক পাণ্ড্যকে রাখেনি মুম্বই। মুম্বইয়ের অন্যতম সফল ব্যাটার ঈশান কিশনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দুই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও রাহুল চাহার মিলে গত মরসুমে ২৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁদেরও রাখেনি মুম্বই।
পঞ্জাব কিংস: আইপিএল-এর দলবদলের বাজারে এ বার বিতর্ক হয়েছে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে। পঞ্জাবের দাবি, তারা রাহুলকে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু রাহুল নিজেই আর থাকতে চাননি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে রাখতে পারেনি পঞ্জাব।
গত মরসুমে পঞ্জাবের অন্যতম সফল বোলার ছিলেন রবি বিষ্ণোই। তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। ক্যরিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরান একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি। তাঁকেও ছেড়ে দিয়েছে পঞ্জাব।
রাজস্থান রয়্যালস: চোটের জন্য রাজস্থান যে বেন স্টোকসকে রাখবে না, তা এক রকম স্পষ্টই ছিল। তারা রাখেওনি এই ইংরেজ অলরাউন্ডারকে।
একই কারণে আরও এক ইংরেজ অলরাউন্ডার জফ্রা আর্চারকেও রাখেনি রাজস্থান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পর গত মরসুমে কোহলীর দলে সব থেকে বেশি রান যিনি করেছিলেন, তিনি দেবদত্ত পাড়িক্কল। তাঁকে রাখা সম্ভব হয়নি বেঙ্গালুরুর পক্ষে। বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিয়েছে যুজবেন্দ্র চহালকেও।
তাদের সব থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে হর্ষল পটেলকে ছাড়তে গিয়ে। গত মরসুমে হর্ষল সব থেকে বেশি উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপি জিতেছিলেন। তাঁর ৩২ উইকেটের ধারেকাছে কেউ ছিলেন না। তবু রাখা যায়নি তাঁকে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে গত মরসুমেই সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল হায়দরাবাদের। অধিনায়কত্ব হারাতে হয়েছিল। তখনই বোঝা গিয়েছিল ওয়ার্নার আর থাকবেন না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা হয়েও ওয়ার্নারের জায়গা হয়নি দলে।
কেন উইলিয়ামসনের থেকে বেশি টাকা দাবি করায় রশিদ খানের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়েছে হায়দরাবাদের। যদিও তাঁকে ছেড়ে দিয়ে হায়দরাবাদ জানিয়েছে নিলামে রশিদের জন্য ঝাঁপাবে তারা। হায়দরাবাদ ছেড়ে দিয়েছে জনি বেয়ারস্টো এবং ভুবনেশ্বর কুমারকেও।