গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল রাহুল দ্রাবিড়ের জমানা। এখন থেকে তিনি ভারতের প্রাক্তন কোচ। তাঁর জায়গায় কে কোচ হবেন তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রজার বিন্নী।
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বিন্নী। তিনি শনিবার বার্বাডোজ়ে উপস্থিত ছিলেন। বিন্নীর সামনেই ট্রফি জেতেন রোহিত শর্মারা। ট্রফি জয়ের পর শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন কোচ নিয়ে জল্পনা। তার মাঝেই বিন্নী বলেন, “গম্ভীরের প্রচুর অভিজ্ঞতা। ও দায়িত্ব নিলে ভারতীয় ক্রিকেটের ভালই হবে। ওর অভিজ্ঞতা ভারতের প্রয়োজন। ভারতের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট খেলেছে গম্ভীর। এমন এক জনকেই ভারতের কোচ হিসাবে প্রয়োজন।”
২০২১ সাল থেকে ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন দ্রাবিড়। খেলোয়াড় জীবনে কোনও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। কোচ হিসাবে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে হেরে গিয়েছিল দ্রাবিড়ের দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদিও ফল দ্রাবিড়ের পক্ষে। বিন্নী বলেন, “দ্রাবিড় দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিল। ওর যা অভিজ্ঞতা তা দলকে নানা ভাবে সাহায্য করেছে। কোচ হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করেছে ও। যে কয়েকটি ম্যাচ হেরেছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্য। এর মধ্যে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালও ছিল।”
গম্ভীর ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন। তিনি ২০০৭ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে গম্ভীরকেই কোচ হিসাবে ঘোষণা করবে বোর্ড। কিছু দিন আগে গম্ভীর বলেন, “ভারতীয় দলের কোচ হতে পারলে ভাল লাগবে। দেশের কোচ হওয়ার থেকে বড় গর্বের কিছু হয় না। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধি হওয়া যায় কোচ হলে।” তাতে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
শোনা যায় কোচ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্তও দিয়েছেন গম্ভীর। তার মধ্যে একটি শর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হল, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং মহম্মদ শামিকে। চার সিনিয়র ক্রিকেটারের জন্য ভারতীয় দলের দরজা তিনি ওই প্রতিযোগিতা পর্যন্ত খোলা রাখবেন। তাঁরা যদি ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারেন, তা হলে বাদ পড়তে হবে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিরাট, রোহিত এবং জাডেজা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।