আইপিএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলের ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়ে দোটানায় রয়েছে বিসিসিআই। এর মধ্যেই আরও একটি নিয়ম নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। সেটি হল এক ওভারে দু’টি বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম। এই দু’টি নিয়ম আগামী দিনে আইপিএলে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই নিয়ম উঠে গেলে আরও কমবে বোলারদের ক্ষমতা। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
দু’টি নিয়মই প্রথমে চালু হয়েছিল ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। পরে সেটি আইপিএলে আনা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনওটিরই অস্তিত্ব নেই। ওভারে একটি বাউন্সারের নিয়ম রয়েছে।
গত বছর আইপিএলে এই নিয়ম চালু হওয়ার পর তা স্বাগত জানিয়েছিলেন বোলারেরা। ব্যাটার এবং বোলারদের মধ্যে সমতা আসবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। যদিও গত বছর দলগুলির রান আগের বারের থেকে বেশি হয়েছিল। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “আমরা জানি যে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এবং দুই বাউন্সার নিয়ম নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
রঞ্জি ট্রফি এবং এক দিনের ক্রিকেটের সম্ভাব্য সূচি এবং প্রতিযোগিতার নিয়ম প্রকাশিত হয়েছে তিন সপ্তাহ আগে। সেখানে সৈয়দ মুস্তাক আলি কী নিয়মে খেলা হবে, তা জানানো হয়নি। এখনও সেই নিয়ম প্রকাশ করেনি বিসিসিআই। এতেই জল্পনা বাড়ছে। নভেম্বর থেকে শুরু হবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি।
তবে সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়েই। সম্প্রতি শহরে এসে লখনউয়ের নতুন মেন্টর জাহির খান বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের কারণে বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমার মনে হয় এটা ভাল দিক। আর অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। ভাল অলরাউন্ডার হলে সে সুযোগ পাবেই। কেউ যদি অর্ধেক অলরাউন্ডার হয়, তা হলে তার পক্ষে দলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল হবেই।”
একই দিনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম খুব একটা খারাপ নয়। এতে কৌশলগত দিক থেকে সাহায্য মেলে। অনেকেই বলেন যে অলরাউন্ডার উঠে আসছে না। কিন্তু ওদের উঠে আসতে কে বারণ করেছে? এই প্রজন্মের ক্রিকেটারেরা অলরাউন্ড দক্ষতায় বিশ্বাসী নয়। এমন নয় যে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে ওরা উঠে আসছে না। এক বার বেঙ্কটেশ আয়ারকে দেখুন। ল্যাঙ্কাশায়ারে গিয়ে কত ভাল খেলছে। যে কোনও খেলাতেই নতুনত্ব নিয়ে আসার জায়গা রয়েছে। এতে খেলাটারই মঙ্গল হয়।”