অনুষ্টুপ, অভিমন্যুরা টাকা পাবেন সহজে। ফাইল ছবি
অনুষ্টুপ মজুমদার, মনোজ তিওয়ারি, অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সমস্যা অনেক কমে গেল। শনিবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই, যার ফলে ক্রিকেটার এবং সংস্থাগুলিকে অর্থ পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটিকেই নিয়ে আসা হল ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ফলে ম্যাচ পিছু টাকা পাওয়ার ব্যাপারে মাঝে যে অনেক কাগজপত্রে সইসাবুদের দরকার ছিল, তার আর প্রয়োজন নেই।
বোর্ড সচিব জয় শাহ এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “ম্যাচ ফি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনুমতির অপেক্ষা আর করতে হবে না ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটাররা যাতে সঠিক সময়ে ম্যাচ ফি পায় সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সহজ প্রক্রিয়ায় সেটাই আমরা করতে চেয়েছি।”
আগে ম্যাচ ফি পেতে ক্রিকেটাররা বিল পাঠাতেন রাজ্য সংস্থার কাছে। তারা অনুমতি দিয়ে সেটি পাঠাত বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তার কাছে। তিনি সেটি আর এক বোর্ডকর্তার কাছে অনুমতির জন্যে পাঠাতেন। তার পরেই বেতন দেওয়া হত। এতে শুধু অনেক সইসাবুদই নয়, সময়ও ব্যয় হত। এর আগে অনেক বারই টাকা পেতে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটাররা। বোর্ডের আশ্বাস, নতুন এই প্রক্রিয়ায় ক্রিকেটারদের আর অপেক্ষা করতে হবে না।
সিনিয়র এবং জুনিয়র ক্রিকেটারদের প্রাপ্য টাকার আলাদা বিভাগ রয়েছে। যাঁরা ২০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন, তাঁরা প্রতি দিন ৪০ হাজার টাকা করে পাবে। রিজার্ভে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন ২০ হাজার করে। যারা প্রথম একাদশে থাকবেন এবং ২১ থেকে ৪০টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা পাবেন দিন প্রতি ৫০ হাজার টাকা (রিজার্ভদের ২৫ হাজার)। ৪০-এর বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা বেতন দিন প্রতি ৬০ হাজার। রিজার্ভদের তার অর্ধেক। অর্থাৎ একজন সিনিয়র ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ম্যাচ পিছু পেতে পারেন।