ইডেন গার্ডেন্স। — ফাইল চিত্র।
সুষ্ঠু ভাবে বিশ্বকাপে আয়োজন করতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না বিসিসিআই। তাই মূল দু’টি কাজের জন্যে দু’টি সাব-কমিটি তৈরি করা হল। একটি কমিটি হয়েছে মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্যে। আর একটি কমিটির কাজ পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ লাগলে তার অনুমোদন দেওয়া। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত সব রাজ্য সংস্থাকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের মাঠ পর্যবেক্ষণ সাব-কমিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নী এবং সচিব জয় শাহ ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলার, সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল এবং যুগ্ম-সচিব দেবজিৎ সইকিয়া। প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও বাকি যে ১২টি মাঠে বিশ্বকাপের খেলাগুলি হবে, সবই খতিয়ে দেখবেন এই কমিটির সদস্যকে। এক-একজনকে দু’টি বা তিনটি মাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সভাপতি রজার বিন্নী দেখবেন আমদাবাদ এবং চেন্নাই। আমদাবাদের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল এবং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা। ফলে এই মাঠটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জয় শাহের দায়িত্বে রয়েছে দিল্লি এবং ধরমশালা। শেলার দেখবেন পুনে, লখনউ এবং গুয়াহাটি। রাজীব দেখবেন হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু। দেবজিৎ দেখবেন মুম্বই, কলকাতা এবং তিরুঅনন্তপুরম।
এ ছাড়া, পরিকাঠামো সংক্রান্ত কমিটিতে আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ সিংহ ধুমল, অনিরুদ্ধ চৌধরি, প্রভতেজ ভাটিয়া, এ শঙ্কর রয়েছেন। আরও পাঁচ আধিকারিক তাঁদের সাহায্য করবেন। জয় শাহ জানিয়েছেন, গত ২৭ মে-ই জানানো হয়েছিল এই ধরনের দুটি কমিটি তৈরি করা হবে। তাঁর আশা, এক দিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করার যে লক্ষ্য তাঁরা নিয়েছেন, তা সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই দু’টি কমিটি।