হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পাওয়ার পরেই তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়ে দিল, আগামী রবিবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না হার্দিক পাণ্ড্য। চিকিৎসার জন্য হার্দিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। ভারতীয় দলের সঙ্গে তিনি ধর্মশালাতে যেতে পারবেন না।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, হার্দিকের চোট খুব গুরুতর নয়। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে না পারলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রোহিত শর্মারা জস বাটলারদের বিরুদ্ধে খেলবেন ২৯ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পান হার্দিক। আর মাঠে ফিরতে পারেননি। মাত্র ৩ বল করেই উঠে যান। ম্যাচ চলাকালীনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্ক্যান করানোর জন্য। পরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে।
স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা হার্দিককে চার থেকে পাঁচ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিসিসিআই জানিয়েছে, ‘‘মেডিক্যাল টিমের সদস্যেরা হার্দিকের চোটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ওঁকে ২০ অক্টোবর ধর্মশালায় পাঠানো হচ্ছে না দলের সঙ্গে। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে হার্দিক সরাসরি লখনউয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।’’
বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্দিকের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন ইংল্যান্ডের এক চিকিৎসক। বেঙ্গালুরুতে হার্দিককে ব্যথা কমানোর জন্য একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার এক সপ্তাহ পর তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন।
বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাসের মারা একটি শট পা দিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন হার্দিক। তখনও তাঁর ফলো থ্রু শেষ হয়নি। বলের উপর পা পড়ায় দেহের ভারসাম্য সামলাতে পারেননি তিনি। মাঠে ছুটে আসেন ভারতীয় দলের ফিজিয়ো। তাঁর কাঁধে ভর দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন তিনি।