মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম উল হকের বলবিকৃতির জবাব দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। সেই বক্তব্যে খুশি হতে পারেননি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি। তাঁর মতে, ভাল ভাষায় কথা না বললে ক্রিকেটই এক দিন শামিকে উচিত শিক্ষা দেবে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাসিত বলেছেন, “ইনজিভাইকে যখন শামি কার্টুন বলে ডাকে সেটা কখনওই ভাল শোনায় না। ইনজামাম দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। শামির ভাষা মোটেই ভাল নয়। আমরা ওর বোলিংয়ের প্রশংসা করি। কিন্তু শব্দ বাছাই আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। আমি খুব ব্যথিত।”
বাসিতের দাবি, ইনজামামের প্রতি আরও সম্মান দেখানো উচিত ছিল শামির। বয়সে বড়দের সম্মান না করলে ক্রিকেটই একদিন শামিকে কাঁদাবে বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “যদি শামির মনে হয় ইনজামাম ভুল বলেছে সেটা ভাল ভাবেও বলা যেত। ওকে কার্টুন বা ওই সব বলার দরকার ছিল না। কিছু তো সম্মান দেখাও। ও তোমার থেকে বড়। বড়দের সম্মান করতে হয়। সেটা না করলে ক্রিকেটই তোমাকে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিন কাঁদাবে। তাই এই কাজ কোরো না। এটা আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ।”
উল্লেখ্য, ইনজামামের উদ্দেশে ভারতীয় পেসার বলেছিলেন, “পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা কখনওই আমাদের ভাল দেখতে পারে না। আগে বলেছিল, আমাদের অন্য বল দেওয়া হয়। আমাদের বলে চিপ বসানো থাকে। আমি আগেও বলেছিলাম, সুযোগ থাকলে বলটা কেটে ওদের দেখাতাম যে ভিতরে কী আছে। যদি বোলারেরা সুইং ও রিভার্স সুইং করায় তা হলে সেটা বোলারের কৃতিত্ব। সেটা ওরা বলতে পারে না।”
ইনজামামের অভিযোগ বোকা-বোকা বলেই মনে করেছিলেন শামি। তিনি বলেছিলেন, “যে ওদের বিরুদ্ধে ভাল খেলবে তাদেরই নিশানা করা হবে। ধরুন, আমি ডিভাইস লাগিয়ে বল করছি। কিন্তু ভুল সুইচ টিপে ফেললাম। তা হলে ইনসুইংয়ের বদলে আউটসুইং হয়ে গেল। তাতে তো উল্টো ফল হতে পারে। এই ধরনের রসিকতা অন্য কোথাও চলতে পারে। মানুষকে আর কত বোকা বানাবে ওরা?”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন আরশদীপ সিংহকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ইনজামাম। বলেছিলেন, “আরশদীপ ১৫তম ওভারে রিভার্স সুইং করাচ্ছে। সেটা কী ভাবে সম্ভব? এত তাড়াতাড়ি রিভার্স সুইং করানো যায় না। আম্পায়ারদের বিষয়টা দেখা উচিত। যদি পাকিস্তানের বোলারেরা এটা করত তা হলে কত কথা হত। কিন্তু ভারত বলে কিছু হয় না।” তখনই সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। জানিয়েছিলেন, কিছু বলার আগে ভেবে বলা উচিত।