আপাতত স্বস্তি পেলেন আল-আমিন। ছবি: টুইটার।
পারিবারিক হিংসা মামলায় স্বস্তি পেলেন বাংলাদেশের জোরে বোলার আল-আমিন হোসেন। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন তিনি। পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
২০১২ সালে আল-আমিনের বিয়ে হয় ইশরাত জাহানের সঙ্গে। তাঁদের দু’টি সন্তান রয়েছে। গত ১ অগস্ট ইশরাত মীরপুর মডেল থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন এবং হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, পণের দাবিতে অত্যাচার চালাচ্ছেন আল-আমিন। গত দু’বছর পরিবারের সঙ্গে থাকেন না আল-আমিন। এমনকি তাঁদের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও দেন না।
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আল-আমিন জানান, তাঁর অন্য একটি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতে চান না। এর পর ইশরাত এই সমস্যার সমাধান, শান্তিতে বসবাসের সুযোগ এবং দুই সন্তানের জন্য খোরপোশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন। উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর বিশেষ নম্বরে ফোন পেয়ে ইশরাত এবং তাঁর দুই সন্তানকে আল-আমিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে পারিবারিক হিংসার অভিযোগে মামলা করেন ইশরাত। সেই মামলায় হাই কোর্টে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান আল-আমিন। জামিন পাওয়ার তার পরের দিনই সন্তানদের খরচ চেয়ে ইশরাত আরও একটি মামলা করেন বাংলাদেশের জোরে বোলারের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতে আদালত আল-আমিনকে ২৭ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সীমিত ওভারের ৪৬টি ম্যাচ খেলে ৬৫টি উইকেট পেয়েছেন আল-আমিন। ২০২০ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষ বার দেশের হয়ে মাঠে নামেন তিনি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর।