—ফাইল চিত্র
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হার বাংলাদেশের। আর থাকতে পারলেন না দলের এক কর্তা। তুলোধনা করে ছাড়লেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের। দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ঘুরিয়ে ‘স্বার্থপর’ বলে দিলেন মাহমুদুল্লা, নাজমুল হোসেন শান্তদের। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলছেন।
হারের কোনও অজুহাত দেবেন না বলেও সুজন বলেন, ‘‘জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হারতে হবে ভাবিনি। আমরা অনেক ভাল দল। এই হার অসম্মানজনক। কোনও অজুহাত দেব না। এই সিরিজ আমাদের জেতা উচিত ছিল। হারব ভাবিনি।’’
এর পরেই ব্যাটারদের নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘যে সময় আমাদের প্রতি ওভারে ১০-১২ রান প্রয়োজন ছিল, সেই সময় সাত অথবা আট রান উঠছিল। কেউ ছয় মারার চেষ্টা পর্যন্ত করল না। এক, দু’রান করে নিচ্ছিল সবাই। এটা কী? এমন ভাবে ব্যাট করছিল যেন দলে নিজের জায়গাটা পাকা থাকলেই হবে। দলে জায়গা ধরে রাখতে নামের পাশে রান থাকলেই হবে, এই মনোভাব নিয়ে খেলছিল ওরা।”
১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে কেন ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন না, সেই প্রশ্ন তুলে মাহমুদ বলেন, “১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে কখনও ৯০-১১০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে জেতা সম্ভব নয়। কাউকে তো বোলারদের আক্রমণ করতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট দেখুন। খেলাটার ধরনই বদলে দিয়েছে ওরা। রোজ রোজ লিটন রান করবে না। আফিফ বা শান্ত কাউকেই দেখলাম না আক্রমণ করতে। শর্ট বলে যদি ছক্কা না মারতে পারে তা হলে কিছু করার নেই।”
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটা সময় পর্যন্ত ভাল জায়গায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবোয়ের রিয়ান বার্ল একাই খেলা ঘুরিয়ে দেন। নাসুম আহমেদের এক ওভারে ৩৪ রান নেন তিনি। ম্যাচটি ১০ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন মাহমুদ। এখন তিনি বাংলাদেশ দলের ডিরেক্টর।