শহিদুল ইসলাম। ফাইল ছবি
ডোপিংয়ের দায়ে নির্বাসিত হলেন বাংলাদেশের জোরে বোলার শহিদুল ইসলাম। তাঁকে ১০ মাস নির্বাসিত করেছে আইসিসি। অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন এই বোলার। গত ২৮ মে থেকে তাঁর নির্বাসন শুরু হয়েছে। পরের বছর ২৮ মার্চ নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হবে।
বাংলাদেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটিই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি মহম্মদ রিজওয়ানের উইকেট নেন। পাকিস্তান ৩-০ ফলে সিরিজ জেতে। এর পর নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের সঙ্গে গেলেও সুযোগ পাননি প্রথম একাদশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির দলেও ছিলেন তিনি। পেশিতে টান ধরায় সফর থেকে ছিটকে যান।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, শহিদুলের মূত্রের নমুনায় ক্লোমিফিন পাওয়া গিয়েছে। ওয়াডার তালিকায় এটি নিষিদ্ধ ওষুধ হিসাবেই রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় খেলার আগে হোক বা পরে, কোনও সময়েই এই ওষুধ ব্যবহার করা যায় না। আইসিসি যে সময় তাঁর নমুনা পরীক্ষা করেছে, তখন কোনও প্রতিযোগিতায় খেলছিলেন না শহিদুল।
নির্বাসিত করলেও আইসিসি জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই ওষুধ নিয়েছিলেন শহিদুল। তাঁকে চিকিৎসকই এই ওষুধ নিতে বলেছিলেন। নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না বলে আইসিসি-কে জানিয়েছেন শহিদুল। সব শুনে তাঁর শাস্তির মেয়াদ কমই রাখা হয়েছে।