Bangladesh Cricket

কী কারণে সতীর্থকে গড়াপেটার প্রস্তাব? বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ্যে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা সতীর্থ লতা মণ্ডলকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সোহেলি। লতা সে কথা বাংলাদেশের দল পরিচালন সমিতিকে জানাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৮
Share:

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম-সহ সর্বত্র দুই ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে। ছবি: টুইটার

বন্ধু জোর গলায় বলেছিলেন, বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটাররা গড়াপেটা করে ম্যাচ হারেন। তিনি মানতে চাননি। বন্ধুর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তিনি সত্যিটা প্রমাণ করে দেবেন। আর সেটা করতে গিয়ে কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটার সোহেলি আখতারের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা সতীর্থ লতা মণ্ডলকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। লতা সে কথা বাংলাদেশের দল পরিচালন সমিতিকে জানাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম-সহ সর্বত্র এই দুই ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে। সোহেলি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

বাংলাদেশের যমুনা টিভিতে লতার সঙ্গে সোহেলির কথোপকথন প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আসল ঘটনা জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে। লতা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ফেসবুকে আকাশ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি লতাকে বলেন, “তোমরা শ্রীলঙ্কার কাছে এশিয়া কাপে হেরেছ। এখানেও হেরে গেলে। আমার মনে হয় তোমার দলের ক্রিকেটাররা ম্যাচ গড়াপেটা করে। বিশেষত টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান করতে পারে না। বোলাররাও গড়াপেটা করার জন্যে ইচ্ছাকৃত ওয়াইড বল করে।”

জবাবে লতা তাঁকে বলেন, “শোনো, আমার সতীর্থরা মোটেই এমন কাজ করে না। কারণ আমরা ম্যাচ জেতার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করো, আমি সরাসরি না বলব। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।”

Advertisement

সোহেলি এর পর বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আকাশের সঙ্গে এই নিয়ে আমার ব্যাপক তর্ক হয় এবং উত্তেজিত হয়ে পড়ি। ওকে বলি, তুমি যত টাকারই প্রস্তাব দাও, কেউ রাজি হবে না। তার পর ওকে বলি, তুমি প্রমাণ চাইলে সেটাও দিতে পারি। আমি কোনও ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসা করতে পারি। সে কখনওই রাজি হবে না। তুমি দেখতে চাও? ও হ্যাঁ বলে। সেটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।”

সোহেলির সংযোজন, “আমি সত্যিই প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। লতা সেটা দুর্নীতি বিরোধী কমিটিকে জানিয়ে দেয় এবং এখন এই অবস্থা। প্রথমত, আমি এই কাজ করে বিরাট ভুল করেছি। এখন বিষয়টা খুবই জটিল হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে আমি ওকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছি।” সোহেলির ক্ষোভ রয়েছে যমুনা টিভির উপরেও। তাঁর দাবি, বাকি কথাগুলোকে কেটে এমন কিছু কথা দেখানো হচ্ছে যাতে মনে হয় সোহেলিই অপরাধী।

সোহেলির এই ভুলের বিরাট দাম চোকাতে হতে পারে। আইসিসি তাঁকে নির্বাসিত করতে পারে। কড়া শাস্তি দিতে পারে বাংলাদেশ বোর্ডও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement