মেহেদি হাসানকে ঘিরে উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
০-৩ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজ়ে চুনকাম হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ রানে জয় পেল লিটন দাসের দল। নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেও ফর্ম ফিরে পেলেন না লিটন। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৪৭। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস শেষ হয় ১৪০ রানে। বাংলাদেশের জয়ের প্রধান কারিগর স্পিনার স্পিনার মেহেদি হাসান।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও শুরুটা ভাল করতে পারেনি সফরকারীরা। একের পর এক আউট হয়ে যান বাংলাদেশের তানজ়িদ হাসান (৬), লিটন (শূন্য), আফিফ হোসেনরা (৮)। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থায় দলের ইনিংসের হাল ধরেন ওপেনার সৌম্য সরকার এবং পাঁচ নম্বরে নামা জাকের আলি। ২৭ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান জাকেরও। এর পর সৌম্যর সঙ্গে জুটি বাঁধেন ছ’নম্বরে নামা মেহদি হাসান। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ২টি চার, ১টি ছক্কা। সৌম্য করেন ৩২ বলে ৪৩। ২টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। তবে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন শামিম হোসেন। তিনি ১টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে করেন ১৩ বলে ২৭।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম আকিল হোসেন। তিনি ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। ৩০ রানে ২ উইকেট ওবেড ম্যাককয়ের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রোস্টন চেজ এবং রোমারিয়ো শেফার্ড।
জয়ের লক্ষ্য ১৪৮ রান হলেও ঘরের মাঠে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। মেহদির স্পিন সামলাতে পারেননি পাওয়েলেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রান পাওয়েলে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করলেন ৩৫ বলে ৬০। ৫টি চার এবং ৪টি ছয় মারেন। তাও দলকে জেতাতে পারলেন না সতীর্থদের ব্যর্থতায়। আয়োজকদের পক্ষে বলার মতো রান আর কেউই করতে পারলেন না। ওপেনার জনসন চার্লস ২০ এবং শেষ দিকে শেফার্ড ২২ রান করেন। ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানেরা।
১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস ভাঙলেন মেহেদি। ভাল বল করলেন হাসান মেহমুদও। তিনি ১৮ রানে ২ উইকেট নেন। ২৮ রানে ২ উইকেট তাসকিন আহমেদের। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তামজ়িম হাসান শাকিব এবং রিশাদ হোসেন।