জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যাবে গোপীচন্দকে। —ফাইল চিত্র
১৪ বছর হয়ে গেল তিনি খেলা ছেড়ে শিক্ষক। সেই শিক্ষক পুল্লেলা গোপীচন্দের আর একটু উত্তরণ হল। ব্যাডমিন্টনের শিক্ষক এ বার পাঠ দেবেন ক্রিকেটের! আগামী শনিবার বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যাবে গোপীচন্দকে। ২৪ জুলাই গোপীচন্দ ছাড়াও এনসিএ-তে থাকবেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের কর্তা বেঙ্কি মাইসোর এবং বিসিসিআইয়ের পিচ কমিটির প্রধান আশিস ভৌমিক।
সাইনা নেহওয়াল, পিভি সিন্ধুর মতো অলিম্পিক্স পদকজয়ী তারকা তৈরি করেছেন গোপীচন্দ। তিনি নিজে অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন জিতেছেন। সেই গোপীচন্দের অভিজ্ঞতা শুনবেন সৌরাশিস লাহিড়ীরা। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস ছাড়াও রয়েছেন আবিষ্কার সালভি, টিনু ইয়োহানান এবং শ্রীনাথ অরবিন্দ। তাঁরা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছেন। এ ছাড়াও গোপীচন্দদের অভিজ্ঞতা শুনবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, সাইরাজ বাহুতুলেরা।
সৌরাশিসরা এনসিএ-তে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৯ জুলাই থেকে। এই কোর্স শেষ হওয়ার কথা ২৩ জুলাই। কিন্তু গোপীচন্দদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আরও এক দিন থাকবেন তাঁরা। আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌরাশিস বললেন, “গোপীচন্দের অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারব। এক জন অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন তৈরি করতে কতটা সময় লাগে, তাঁকে কী ভাবে তৈরি করতে হয়, কতটা ত্যাগ করতে হয়, মানসিক প্রস্তুতি কী ভাবে নিতে হয়, এই সব কিছু জানার সুযোগ থাকবে আমাদের।”
আইপিএলে কলকাতা দলের সঙ্গে যুক্ত বেঙ্কি। তিনি এনসিএ-র কোচেদের জানাবেন, প্রশিক্ষকদের থেকে আইপিএলের দলগুলি কী চায়। সৌরাশিস বললেন, “আইপিএলে এক জন কোচের থেকে দল কী চায় বা কী ধরনের সম্পর্ক প্রয়োজন দল এবং কোচের মধ্যে, সেই বিষয়ে কথা বলবেন বেঙ্কি।” আশিস ভৌমিক বোঝাবেন পিচের চরিত্র কী ভাবে বুঝতে হয়। সৌরাশিস বললেন, “টস জিতে কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটা অনেকটাই নির্ভর করে পিচের উপর। সেই বিষয়টা জানতে পারব।”
ইতিমধ্যেই সৌরাশিসদের সঙ্গে কথা বলেছেন লোকেশ রাহুল। জাতীয় অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা জানালেন সৌরাশিস। তিনি বললেন, “খুব ভাল কথা বলে রাহুল। শান্ত ছেলে। এখনকার ক্রিকেটারদের সম্পর্কে বলছিল ও। কোচিং মানে তো শুধু ক্রিকেটারদের নির্দেশ দেওয়া নয়, তাদের বুঝতেও হয়। ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বার করে আনতে হলে তাদের মনের ভিতর কী চলছে সেটা বোঝা জরুরি। সেই সম্পর্কটা বুঝতে সাহায্য করল রাহুল। কোচেদের থেকে ক্রিকেটার কী চায় সেই বিষয়ে কথা বলল ও।”
অ্যাশেজজয়ী কোচ ট্রয় কুলির থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য সৌরাশিসরা এনসিএ-তে গিয়েছেন। সেই প্রশিক্ষণের সঙ্গে গোপীচন্দদের পাওয়া বাড়তি সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন বাংলার সৌরাশিস।