বাবর আজম। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলেই তা আলাদা উত্তেজনা তৈরি করে সমর্থকদের মধ্যে। দু’দেশের সমর্থকেরাই গ্যালারিতে পাল্লা দিতে থাকেন একে অপরের সঙ্গে। ২০১৯-এর ম্যাঞ্চেস্টার, ২০২২-এর মেলবোর্ন সেই দৃশ্যের সাক্ষী। কিন্তু ১৪ অক্টোবর আমদাবাদে সেই দৃশ্য দেখা যাবে কি? ভারতে সেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি হলেও পাকিস্তানের বহু সমর্থক এখনও এ দেশে আসার ভিসাই পাননি। বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন তাই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের আশা, পাকিস্তানের সমর্থকেরা যেন খেলা দেখতে আসার অনুমতি পান।
ভারতে খেলা দেখতে আসার জন্যে পাকিস্তানের অনেক সমর্থক ভিসার আবেদন করেছেন। অনেক সাংবাদিকও রয়েছেন সেই তালিকায়। কিন্তু সমর্থকেরা তো বটেই, অনেক সাংবাদিকও ভিসা পাননি। ফলে বিশ্বকাপের আগের দিনেও থেকে গিয়েছে অনিশ্চয়তা। আমদাবাদে শুধু ভারতের সমর্থকদেরই দাপট থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বুধবার বাবর বলেছেন, “সত্যি বলতে, আমাদেরও কানে কথাটা এসেছে। হায়দরাবাদে এসে নেমে বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত যে আতিথেয়তা পেয়েছি তা অসাধারণ। আগের দিন মাঠেও প্রচুর ক্রিকেটপ্রেমীকে দেখেছি। খুব ভাল হয় যদি আমাদের দেশের সমর্থকেরাও এখানে আসতে পারেন। প্রতিটা ম্যাচে প্রতিটা মাঠে সমর্থন পেলে আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারব। দেখা যাক কী হয়।”
এ দেশে পাকিস্তানের খেলতে আসা নিয়ে বিস্তর টালবাহানা হয়েছে। কিন্তু হায়দরাবাদে পা রাখার পর থেকে নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। সম্প্রতি পাকিস্তানের কনভয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কনভয়ে প্রথমে রয়েছে ছ’টি গাড়ি। সেই গাড়িগুলিতে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। ছ’টি গাড়ির পরে রয়েছে দু’টি বাইক। সেখানেও রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। তার পরে দলের একটি বাস রয়েছে। সেখানে কয়েক জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ থাকছেন। তার পরে আবার থাকছে পাঁচটি গাড়ি। সেখানেও নিরাপত্তারক্ষীদের রাখা হয়েছে। পাঁচটি গাড়ির পরে আবার একটি বাস রয়েছে। সেখানে দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা রয়েছেন। কনভয়ের একদম পিছনে রয়েছে আরও ছ’টি গাড়ি। তার মধ্যে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও রয়েছে। যদি কোনও কারণে কারও শরীর অসুস্থ হয় তা হলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যেই অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে।