সাংবাদিক বৈঠকে বাবর আজম। ছবি: টুইটার থেকে।
টি২০ বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায়ের পরেই জৈবদুর্গকে (বায়ো বাবল) কাঠগড়ায় তুলেছেন ভারতের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী। জানিয়েছেন, ছ’মাস জৈবদুর্গে থাকতে থাকতে মানসিক ও শারীরিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কোহলীরা। খানিকটা সেই সুরে কথা বললেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও। যদিও কী ভাবে তার মোকাবিলা করে পাক দল এত সফল, তার পথও বাতলে দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বাবর বলেন, ‘‘পেশাদার ক্রিকেটে ভাল-খারাপ দু’রকম সময়ই আসে। কিন্তু এ ভাবে টানা জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে থাকতে ক্রিকেটাররা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই ক্লান্তি মোকাবিলা করতে আমরা দল হিসাবে খেলার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে সবাই সবাইকে সাহায্য করছি।’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে জৈবদুর্গের চাপ সামলে ক্রিকেটারদের থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন পাক অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে হবে। তবেই আপনি চাপ সামলাতে পারবেন। কিন্তু কোনও কোনও সময় নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে জৈবদুর্গের বাইরে বার হতে হয়। নইলে নেতিবাচক মানসিকতা গ্রাস করতে পারে। তার প্রভার খেলায় পড়তে পারে।’’
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ চারেও ধরে রাখতে চান বাবর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সেমিফাইনালেও একই ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাই। তাই সব সময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। সবাইকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করছি। ফলে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি আমরা।’’